কাস্পিয়ান সাগরে যৌথ মহড়ায় ইরান ও রাশিয়া, উত্তেজনার মধ্যেই শক্তি প্রদর্শনের প্রস্তুতি
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ১০:১৭ রাত

ছবি: সংগৃহিত
ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতে ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা প্রদর্শনের পর এবার সাগরে সামরিক শক্তি দেখাতে যাচ্ছে ইরান। রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে কাস্পিয়ান সাগরে একটি বড় নৌমহড়ায় অংশ নিতে যাচ্ছে দেশটি। মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরেশিয়া অঞ্চলের চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই মহড়াকে কৌশলগত বার্তা হিসেবেই দেখছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ জানিয়েছে, ‘কাসারেক্স ২০২৫’ কোডনামে এই মহড়া শুরু হবে সোমবার থেকে, যা চলবে তিন দিনব্যাপী। এতে অংশ নেবে ইরানের নৌবাহিনী, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) নৌ শাখা, দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং রুশ ফেডারেশনের নৌবাহিনী।
মহড়ার মূল লক্ষ্য হিসেবে জানানো হয়েছে কাস্পিয়ান সাগরে সামুদ্রিক নিরাপত্তা, মানবিক উদ্ধার তৎপরতা এবং নৌবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয় ও সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়গুলো। এর মাধ্যমে উপকূলবর্তী দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ও যৌথ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় উন্নতি আনার চেষ্টা করা হবে।
যদিও এখন পর্যন্ত মহড়ায় অংশ নেওয়া যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা, অস্ত্রভাণ্ডার কিংবা কৌশলগত প্রস্তুতির ধরন প্রকাশ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, তবে আঞ্চলিক ভূরাজনীতির এমন সংবেদনশীল মুহূর্তে এই মহড়ার তাৎপর্য কম নয়।
বিশ্লেষকদের মতে, এই যৌথ মহড়া শুধু প্রতিরক্ষা সক্ষমতা প্রদর্শনের সুযোগই নয়, বরং এটি একটি কৌশলগত বার্তাও—বিশেষ করে পশ্চিমা শক্তির প্রভাব এবং ন্যাটো জোটের বিস্তারের পটভূমিতে ইরান-রাশিয়া ঘনিষ্ঠতাকে সামনে এনে দিচ্ছে।
এদিকে মহড়ায় বেশ কয়েকটি দেশ পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকবে বলেও জানা গেছে, তবে কারা সেই দেশগুলো, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি আয়োজকরা।
এই মহড়ার মধ্য দিয়ে কাস্পিয়ান অঞ্চলে রুশ ও ইরানি উপস্থিতি নতুন মাত্রা পাবে বলেই ধারণা করছেন সামরিক কূটনীতিকরা।
বাংলাধারা/এসআর