জাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা শুরু
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ০৫:৫৪ বিকাল
ছবি: সংগৃহিত
প্রায় ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা শুরু হয়েছে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সদস্যসচিব সিনেট কক্ষে প্রবেশ করলে প্রথমে প্রয়াত এক শিক্ষকের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগের রাতে বামপন্থী সংগঠন ও ছাত্রদল অভিযোগ তোলে যে ভোট গণনার মেশিন সরবরাহকারীর সঙ্গে জামায়াতের যোগসূত্র রয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন হাতে হাতে ভোট গণনার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ভোটগ্রহণ চলাকালে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ছাত্রদল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। পরে সন্ধ্যায় বামসমর্থিত আরও চারটি প্যানেল ভোট বর্জন করে। ফলে আটটি প্যানেলের মধ্যে পাঁচটির ৬৮ জন প্রার্থী সরে দাঁড়ালেও বাকি তিনটি প্যানেলের ১১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে সিনেট ভবনে ব্যালট বাক্স আনা হয় এবং রাত ১০টার পর শুরু হয় গণনা। প্রায় ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে ভোট গণনার কাজ।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ৬ হাজার ১৫ জন এবং ছাত্রী ভোটার ৫ হাজার ৭২৮ জন। মোট ভোট পড়েছে ৮ হাজার ৩টি, যা প্রায় ৬৮ শতাংশ। জাকসুর ২৫টি কেন্দ্রীয় পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১০ জন। এছাড়া হল সংসদের পদে লড়েছেন আরও ৪৪৫ প্রার্থী।
চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাধ্যমে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে বলে প্রত্যাশা শিক্ষার্থীদের।
বাংলাধারা/এসআর
