২০২৫ সালে ইউক্রেনের প্রায় ৫ লাখ সেনা হতাহত: রাশিয়ার দাবি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫, ১১:৪৩ দুপুর
ছবি: সংগৃহিত
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রুশ বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেন প্রায় ৫ লাখ সেনা হারিয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, এই বিপুল ক্ষতি নিকট ভবিষ্যতে পূরণ করা ইউক্রেনের জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলৌসোভ গতকাল বুধবার এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই তথ্য তুলে ধরেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম রাশিয়ান টেলিভিশন (আরটি) জানায়, সেদিন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বেলৌসোভ বলেন, “২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রুশ বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে প্রায় ৫ লাখ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। এই বিপুল প্রাণহানির ফলে ইউক্রেনের পক্ষে সেনাবাহিনী পুনর্গঠন ও ঘাটতি পূরণ করা নিকট ভবিষ্যতে অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠেছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, ব্যাপক প্রাণহানির কারণে ইউক্রেনের বেসামরিক জনগণের মধ্যে বাধ্যতামূলক সামরিক যোগদানের আগ্রহও কমে যাচ্ছে। এতে কিয়েভের জন্য নতুন সেনা সংগ্রহ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে ইউক্রেন শুধু জনবলই নয়, বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জামও হারিয়েছে। তাঁর দাবি, ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ১ লাখ ৩ হাজারের বেশি সমরাস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৫০০ ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান, যেগুলোর বড় অংশ পশ্চিমা দেশগুলোর দেওয়া সহায়তা হিসেবে ইউক্রেন পেয়েছিল।
ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ইউক্রেনের তৎপরতাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের উত্তেজনার পর ২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। যুদ্ধ শুরুর পরপরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি ডিক্রি জারি করে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
যুদ্ধের শুরুতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে যোগদানের ন্যূনতম বয়স ছিল ২৭ বছর। পরে গত বছর তা কমিয়ে ২৫ বছরে নামিয়ে আনা হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাধ্যতামূলক সামরিক নিয়োগ নিয়ে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে সাধারণ জনগণ ও সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই দাবির বিষয়ে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
বাংলাধারা/এসআর
