ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

ভিসা নীতিতে অগ্রগতি, আরব আমিরাতকে প্রধান উপদেষ্টার কৃতজ্ঞতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: মে ০৭, ২০২৫, ১১:২১ রাত  

ছবি: পিআইডি

বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা নীতিতে ইতিবাচক অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়ে বলেন, "ভিসার দরজা খোলার জন্য ধন্যবাদ। কিছু প্রক্রিয়া এখনো বাকি, তবে আমরা একসঙ্গে থেকে এগিয়ে যাবো।"

বুধবার (৭ মে) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের 'সহনশীলতা ও সহাবস্থান' বিষয়ক কেবিনেট মন্ত্রী শেখ নাহায়ান বিন মুবারক আল নাহায়ানের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উষ্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্ব, বিনিয়োগ এবং শ্রমবাজারসহ বহুবিধ বিষয়ে আলোচনা হয়।

দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছায় শেখ নাহায়ান নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলটি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী তাঁদের স্বাগত জানান।

বৈঠকে শেখ নাহায়ান বলেন, "বাংলাদেশের প্রতি সংহতি জানাতে ও আমাদের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করতে আমি আমাদের প্রেসিডেন্টের নির্দেশে এখানে এসেছি।" তিনি দুই দেশের সরকারে সাম্প্রতিক ঘনিষ্ঠ সংলাপের প্রশংসা করে বলেন, "আমরা বিনিয়োগ থেকে শুরু করে ভিসা পর্যন্ত সব খাতে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।"

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে মূল্য দিই। বিশেষ করে বিভিন্ন খাতে তাঁদের বিনিয়োগ প্রস্তাব আমরা স্বাগত জানাই। আমাদের জনগণের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। এটি অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও সমৃদ্ধ করবে।”

ভিসা প্রক্রিয়ায় সাম্প্রতিক উন্নয়নের কথাও উঠে আসে আলোচনায়। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা ইস্যু করছে আমিরাত, যার মধ্যে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরাও দ্রুত অনুমোদন পাচ্ছেন। দক্ষ কর্মীদের জন্য অনলাইন ভিসা সিস্টেমও পুনরায় চালু হয়েছে।

বিপণন, হোটেল ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার জন্য ইতোমধ্যে শত শত ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষীদের জন্য ৫০০টি ভিসা ইতোমধ্যে প্রদান করা হয়েছে এবং আরও এক হাজার ভিসা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউএই রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আল হমোদি এবং আবুধাবিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ। বৈঠক শেষে ইউএই প্রতিনিধি দল ঢাকা ত্যাগ করে।

এই সফর এবং আলোচনাগুলো দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


বাংলাধারা/এসআর