ঢাকা, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

জাকসুর ভিপি স্বতন্ত্র জিতু, জিএস শিবির সমর্থিত মাজহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫, ০৭:৩৫ বিকাল  

ছবি: সংগৃহিত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে জয়ী হয়েছেন ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’-এর প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু। আর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী’ প্যানেলের মো. মাজহারুল ইসলাম।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২৮ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে জাকসুর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনিরুজ্জামান। নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম ফল ঘোষণার পুরো অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন।

ফল ঘোষণার আগে বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সদস্যসচিব সিনেট কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় প্রয়াত এক শিক্ষকের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে ৫টা ১৫ মিনিট থেকে ফল ঘোষণা শুরু হয়। প্রথমে হল সংসদের ফলাফল এবং শেষে কেন্দ্রীয় সংসদের ফল ঘোষণা করা হয়।

প্রায় ৩৩ বছর পর গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে অনুষ্ঠিত হয় এই ঐতিহাসিক নির্বাচন। তবে ভোটের আগের দিন বাম সংগঠন ও ছাত্রদল অভিযোগ তোলে, ভোট গণনার জন্য আনা মেশিনের সঙ্গে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এ অভিযোগের পর নির্বাচন কমিশন হাতে গণনার সিদ্ধান্ত নেয়।

ভোটের দিন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ছাত্রদল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। এরপর সন্ধ্যায় বামসমর্থিত আরও চারটি প্যানেলও ভোট বর্জন করে। ফলে আটটি প্যানেলের মধ্যে পাঁচটি সরে দাঁড়ালেও বাকি তিনটি প্যানেলের ১১১ জন প্রার্থী শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকেন।

ভোটগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে ব্যালট বাক্স সিনেট ভবনে আনা হয়। রাত ১০টার পর গণনা শুরু হয়ে টানা প্রায় ৪০ ঘণ্টা ধরে চলে।

এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ৬ হাজার ১৫ জন ও ছাত্রী ভোটার ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোট দিয়েছেন ৮ হাজার ৩ জন, যা মোট ভোটারের প্রায় ৬৮ শতাংশ।

জাকসুর ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৭৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ছিলেন ৯ জন, জিএস পদে ৮ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন। এছাড়া হল সংসদের বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আরও ৪৪৫ জন প্রার্থী।

বাংলাধারা/এসআর