ডিআইজি এহসানুল্লাহ পালিয়েছেন
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ১২:৩৬ রাত
ছবি: সংগৃহিত
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দুই অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে গ্রেপ্তার করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত সংস্থা। তবে এ সময় সারদা পুলিশ একাডেমি থেকে রহস্যজনকভাবে পালিয়ে গেছেন ডিআইজি এহসানুল্লাহ, যিনি বরিশালের সাবেক পুলিশ সুপার এবং বর্তমানে একাডেমির সাপ্লাই বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে আইসিটি তদন্ত সংস্থা ও জেলা পুলিশের যৌথ অভিযানে এ ঘটনাটি ঘটে। পালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশের একাধিক সূত্র।
আইসিটি ও পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাবের আলোচিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী— সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউর রহমানকে সিআইডি ঢাকা মেট্রো অফিস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিআইডি সূত্র জানায়, দুপুরের দিকে আইসিটির একটি প্রতিনিধিদল অফিসে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মশিউর রহমানকে আটক করে।
অন্যদিকে, উত্তরা গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে উত্তরা ডিভিশনের সাবেক এডিসি সালাউদ্দিনকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
একই দিনে বরিশালের সাবেক পুলিশ সুপার ও বর্তমানে সারদা পুলিশ একাডেমির কর্মকর্তা ডিআইজি এহসানুল্লাহকে আটক করতে গেলে তিনি পালিয়ে যান।
সূত্র জানায়, ভোর ৬টার দিকে আইসিটির তদন্ত দল একাডেমিতে পৌঁছায়। কিন্তু নিরাপত্তা কর্মকর্তারা পরিচয় যাচাইয়ের নামে তাদের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেন। এ সময় বিষয়টি জানতে পেরে ডিআইজি এহসানুল্লাহ স্থান ত্যাগ করেন।
পুলিশের ধারণা, একাডেমির কয়েকজন কর্মকর্তা তাকে পালাতে সহায়তা করেছেন। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপালকে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
ডিআইজি এহসানুল্লাহর পালানোর ঘটনায় পুলিশ সদরদপ্তর এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা যৌথভাবে বিষয়টি অনুসন্ধান করছে। রাজশাহীতে দিনভর এ ঘটনাটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বাংলাধারা/এসআর
