ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

৬৭৮ কোটি টাকার মানিলন্ডারিং

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক দিলীপ আগরওয়ালার বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৫, ১১:০৬ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

স্বর্ণ ও হীরা চোরাচালানের মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের অর্থপাচারের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের মালিক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে মামলা করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অভিযোগে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বৈধ আমদানির আড়ালে তিনি ৬৭৮ কোটি টাকার বেশি অর্থপাচার ও অবৈধ স্বর্ণ-হীরা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আগের দিন সোমবার (১৭ নভেম্বর) গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়।

গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের আর্থিক লেনদেন, ব্যাংক হিসাব ও বিভিন্ন নথিপত্র পর্যালোচনা করে অনুসন্ধান শুরু করে। তদন্তে বেরিয়ে আসে, কোম্পানিটি স্থানীয় বাজার থেকে উৎসবিহীনভাবে স্বর্ণ ও হীরা সংগ্রহ করে অবৈধ লেনদেন চালিয়ে আসছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি এলসির মাধ্যমে বিদেশ থেকে মোট ৩৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকার স্বর্ণবার, অলংকার, লুজ ডায়মন্ডসহ বিভিন্ন পণ্য বৈধভাবে আমদানি করে। তবে একই সময়ে স্থানীয় বাজার থেকে ক্রয়, বিনিময় ও পরিবর্তনের মাধ্যমে তারা সংগ্রহ করে ৬৭৮ কোটি ১৯ লাখ ১৪ হাজার টাকার স্বর্ণ ও হীরা, যার উৎস সম্পর্কে তারা কোনো বৈধ নথি দেখাতে ব্যর্থ হয়।

সিআইডি মনে করছে, বৈধ কাগজপত্র না থাকায় এই বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও হীরা চোরাচালানের মাধ্যমে দেশে আনা হয়েছে। এসব অবৈধ পণ্যের লেনদেন ও অর্জিত অর্থের রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমেই বড় আকারের মানিলন্ডারিং সংঘটিত হয়েছে।

অনুসন্ধান প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে মানিলন্ডারিংয়ের সত্যতা পাওয়া গেলে তা সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপির কাছে দাখিল করা হয়। পরে গত ১৬ নভেম্বর মামলা করার অনুমোদন দেয় ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, গুলশান থানার মানিলন্ডারিং মামলা (নম্বর-৩০) তফসিলভুক্ত হওয়ায় এর তদন্তের দায়িত্ব সিআইডিই পালন করবে। সংশ্লিষ্ট নথি, ব্যাংক লেনদেন, সরবরাহকারী এবং সংশ্লিষ্ট সব ব্যক্তির তথ্য যাচাই করে আইন অনুযায়ী কঠোর তদন্ত করা হবে।

বাংলাধারা/এসআর