উৎসবমুখর নির্বাচন নিশ্চিতে সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তা প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৫, ০৬:৫৭ বিকাল
ছবি: সংগৃহিত
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর করতে সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদার সহায়তার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত বৈকালিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শিগগিরই বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। এই নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের পথে যাত্রার সূচনা করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন যেন সর্বাঙ্গসুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর হয়, এ জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ একসঙ্গে কাজ করছে।
তিনি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে এই নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে উঠবে। সেজন্য সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব প্রদর্শনের আহ্বান জানান তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী দুর্যোগ মোকাবিলা, দেশ পুনর্গঠন ও সংস্কার কার্যক্রমসহ সবসময়ই জনগণের পাশে থেকেছে। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং চলমান সংস্কার উদ্যোগেও বাহিনী আস্থা বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি জানান, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সামগ্রিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আধুনিক প্রশিক্ষণ, উন্নত প্রযুক্তি সংযোজনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একই সঙ্গে দেশরক্ষা ও জনকল্যাণমূলক কাজে আরও বেশি শিক্ষার্থী ও যুবসমাজকে যুক্ত করতে বিএনসির কার্যক্রম সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সম্মিলিত অভিযান মুক্তিযুদ্ধে নতুন গতি আনে। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস ও আত্মত্যাগ ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের ভূমিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ৩৭ বছরে বাংলাদেশের সদস্যরা ৪৩টি দেশে ৬৩টি মিশন সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে ১০টি মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন তারা। নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাধারা/এসআর
