প্লট বরাদ্দে অনিয়ম
শেখ রেহানা ৭ বছর, শেখ হাসিনা ৫ বছর ও টিউলিপ ২ বছরের কারাদণ্ড
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ০১, ২০২৫, ১২:২৮ দুপুর
ছবি: সংগৃহিত
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর আদালত সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মামলায় দণ্ড ঘোষণা করেছেন। মামলায় শেখ রেহানাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আদালত প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে এবং জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড আরোপ করেছে।
রায় ঘোষণা করেন বিচারক মো. রবিউল আলম।
দণ্ডিতদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন খুরশীদ আলম। বাকিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর তরিকুল ইসলাম। খুরশীদ আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীনুর রহমান।
জানা গেছে, শেখ রেহানার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। ৩১ জুলাই একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালে ৩২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ নেওয়া হয়।
বাংলাধারা/এসআর
