লুটের টাকায় কেনা ফ্রিজ-টিভি
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৯
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২৫, ১১:২৩ দুপুর
ছবি: সংগৃহিত
প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারসহ সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ও উদীচীর কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অন্তত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. কাশেম ফারুক, মো. সাইদুর রহমান, রাকিব হোসেন, মো. নাইম, ফয়সাল আহমেদ প্রান্ত, মো. সোহেল রানা ও মো. শফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের পরিচয় ও সংশ্লিষ্টতা যাচাই-বাছাই চলছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার কাশেম ফারুক বগুড়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র এবং বর্তমানে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় বসবাস করেন। মো. সাইদুর রহমান ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।
শেরপুর জেলার বাসিন্দা রাকিব হোসেন প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার অভিযোগে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হন। তার ফেসবুক আইডি থেকে ঘটনার ধ্বংসস্তূপের ছবি পোস্ট করা হয় এবং সেখানে উসকানিমূলক মন্তব্যও পাওয়া গেছে।
ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. নাইমকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে এ ঘটনায় লুট করা ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
লুটের টাকায় কেনা ফ্রিজ-টিভি
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাইম স্বীকার করেছেন, তিনি মোট ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা লুট করেন। ওই অর্থ দিয়ে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে একটি টিভি ও একটি ফ্রিজ কেনেন, যা ইতোমধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঢাকার কারওয়ান বাজার রেললাইন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার সোহেল রানার বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজধানীর একাধিক থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অতীতে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দুটি মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া অন্যদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রোববার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছে যে, সাম্প্রতিক এসব হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, আজ সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
বাংলাধারা/এসআর
