ঢাকা, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

মেয়েকে আনতে গিয়ে প্রাণ হারালেন মা

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২৫, ০১:১২ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

ঢাকা মেট্রোপলিটনের উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত হয়েছেন মেহেরপুরের গাংনীর মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদের কন্যা উম্মে হাবিবা রজনী (৩৭)। নিহত রজনী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চর সাজিপুর এলাকার বাসিন্দা জহিরুল ইসলামের স্ত্রী।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, স্বামী জহিরুলের চাকরির কারণে রজনী দীর্ঘদিন ধরে উত্তরায় বসবাস করছিলেন। তাঁদের একমাত্র মেয়ে ঝুমঝুম খাতুন (১২) স্থানীয় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। প্রতিদিনের মতো সোমবার দুপুরে স্কুল শেষে মেয়েকে আনতে যান রজনী। সে সময় হঠাৎ করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান ভবনে বিধ্বস্ত হলে বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ হন তিনি।

রজনীর ভাই আশিক জানান, “আমার বোন প্রতিদিন মেয়েকে আনতে স্কুলে যেত। হঠাৎই বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বিস্ফোরণের সময় বোন সামনে থাকায় সে আগুনে পুড়ে যায়। পরে ঢাকার বার্ন ইউনিট থেকে তার মরদেহ শনাক্ত করা হয়।”

ঘটনার দিন রাত ৩টার দিকে রজনীর মরদেহ মেহেরপুরের গাংনীর বাওট গ্রামে বাবার বাড়িতে পৌঁছায়। রাতেই মরদেহ নেওয়া হয় স্বামীর বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চর সাজিপুর গ্রামে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়।

এই অকাল মৃত্যুতে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা ও চর সাজিপুর গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিবেশীরা জানান, রজনী ছিলেন অত্যন্ত অমায়িক ও স্নেহশীলা। তাঁর এভাবে চলে যাওয়া মেনে নেওয়া কঠিন।

প্রসঙ্গত, সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার কিছু পর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল ভবনের ওপর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ভবনে আগুন ধরে যায় এবং বহু শিক্ষার্থী হতাহত হয়। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে, যাদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু শিক্ষার্থী। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

রজনীর মেয়ে ঝুমঝুম খাতুন আহত হলেও বর্তমানে সে পরিবারের সঙ্গে নিরাপদে আছে বলে জানা গেছে।

বাংলাধারা/এসআর