কুড়িগ্রামে শীতের দাপট বাড়ছে, কুয়াশায় স্থবির জনজীবন
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ০৪, ২০২৫, ১০:২৫ দুপুর
ছবি: সংগৃহিত
উত্তরের সীমান্ত জেলা কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। টানা তিন দিন ধরে জেলার তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে অবস্থান করছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার।
গত তিন দিনের প্রতিদিনই তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। বুধবার ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ১২ ডিগ্রি এবং সোমবার ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
জেলাজুড়ে ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারদিক। রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা কমে গেছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর, রিকশাচালক ও নিম্নআয়ের মানুষ।
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে। জেলা সদর হাসপাতাল এবং বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ও বয়স্ক রোগীদের সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে দেখা যাচ্ছে।
চরাঞ্চল অঞ্চলে শীতের প্রকোপ আরও বেশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গাছপালা কম থাকায় হিমেল বাতাস সরাসরি এসে লাগছে তাদের বসতবাড়িতে। ব্রহ্মপুত্রবেষ্টিত বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাডোবা চরের বাসিন্দা আবেদ আলী ও মুনছুর আলী বলেন, “সন্ধ্যা নামলেই বাতাসের সঙ্গে কুয়াশা পড়তে থাকে। ছোট বাচ্চা আর বয়স্কদের নিয়ে খুবই বিপাকে আছি।”
শীতের প্রভাব মোকাবিলায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় কম্বল বিতরণের জন্য ৯টি উপজেলায় মোট ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দিন কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, “প্রতিদিনই কুয়াশার ঘনত্ব বাড়ছে। সামনে শীত ও কুয়াশা আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।”
বাংলাধারা/এসআর
