মুরাদনগরে নারীকে ধর্ষণ, বিবস্ত্র ভিডিও ভাইরাল: গ্রেপ্তার ৫
প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৫, ১০:৫৮ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে ধর্ষণ এবং তার বিবস্ত্র ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার ভোরে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি উপজেলার বাহেরচর গ্রামের সহিদ মিয়ার ছেলে।
এর আগে, শনিবার রাতে এবং রোববার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজনকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- একই এলাকার আবদুল হান্নানের ছেলে সুমন, জাফর আলীর ছেলে রমজান, মো. আলমের ছেলে মো. আরিফ এবং তালেম হোসেনের ছেলে মো. অনিক।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন রোববার সকালে এক ক্ষুদেবার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই নারীর অভিযোগ, ঘটনার রাতে বাবা-মা বাড়িতে না থাকায় ফজর আলী তার ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ঘটনার সময় আশপাশের কয়েকজন যুবক সেখানে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পেয়ে জোরপূর্বক ভিডিও ধারণ করে। পরদিন শনিবার রাতে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ৫১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ১০-১২ জন যুবক ওই নারীকে বিবস্ত্র করে মারধর করছে। এ সময় প্রাণভিক্ষা চাইলেও কেউ তাকে রক্ষা করেনি।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ফজর আলীর বিরুদ্ধে মামলা হলেও, নির্যাতনের ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি প্রথমে পুলিশের কাছে গোপন ছিল। তবে ভিডিও ভাইরালের পর তদন্তে নেমে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, “ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী পাঁচ বছর ধরে প্রবাসে রয়েছেন। তাদের দুটি সন্তান আছে।
বাংলাধারা/এসআর