যত দ্রুত দেশকে নির্বাচনের ট্র্যাকে তোলা যাবে, ততই মঙ্গল: মির্জা ফখরুল
প্রকাশিত: জুলাই ০৯, ২০২৫, ০৩:৪৮ দুপুর

ফাইল ছবি
দেশকে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ট্র্যাকে ফেরানো গেলে, ততই দেশের মঙ্গল হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (৯ জুলাই) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস এবং অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে দুই নেতার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন মির্জা ফখরুল। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শক্তি বিএনপি। গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি লড়াইও করেছে বিএনপি। বাংলাদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং পরবর্তীতে সংসদীয় গণতন্ত্রে উত্তরণে বিএনপির বড় ভূমিকা রয়েছে। সুতরাং এ নিয়ে প্রশ্নের কোনো সুযোগ নেই। দেশটাকে সবাই মিলে বাঁচাতে হবে। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব দেশকে সঠিক পথে তোলা। যত দ্রুত তা সম্ভব হবে, ততই দেশের মঙ্গল।”
তিনি বলেন, “যারা মনে করে দেশে নির্বাচন প্রয়োজন নেই, তারা যেন আবার ভেবে দেখে। জনগণের জন্য একটি নির্বাচিত সরকার দরকার, যার সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক থাকবে। সেই কারণেই আমরা সংস্কারে অংশ নিচ্ছি। সংস্কারের দাবি বিএনপিই প্রথম তুলেছে। সংস্কার এবং নির্বাচন একসঙ্গে চলতে কোনো বাধা নেই।”
সরকারের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের অভিযোগ এনে মির্জা ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসনের সময় সবচেয়ে বেশি নির্যাতন, হত্যা, গুম-খুনের শিকার হয়েছে বিএনপি। আমি নিজেই ১১২টি মামলার আসামি এবং ১৩ বার কারাবরণ করেছি। যারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করেছে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা উচিত এবং শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “বিশেষ করে আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা এককভাবে হাজার হাজার মানুষ হত্যার জন্য দায়ী। তার বিচার শুরু হয়েছে। আমরা আশাবাদী, শেখ হাসিনা এবং এই ফ্যাসিস্ট আক্রমণের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের বিচার একদিন হবে। যদি প্রয়োজন হয়, দলগতভাবে তাদের বিচার হওয়া উচিত বলেও আমি মনে করি।”
বাংলাধারা/এসআর