জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ: সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ৩৯ জন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ১২:০৬ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও নিপীড়নের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়েরকৃত সাতটি মামলায় সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ৩৯ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
রোববার (২০ জুলাই) সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পৃথকভাবে তাদের আদালতে আনা হয়।
কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ১৪ জন, কেরানীগঞ্জের বিশেষ কারাগার থেকে সাবেক এনটিএমসি পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জিয়াউল আহসানসহ আরও ১৪ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। অন্যদিকে, কাশিমপুর কারাগার থেকে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিসহ ১৫ জন এবং নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে গোলাম দস্তগীর গাজীকে আদালতে তোলা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানের সময় ‘মুগ্ধ হত্যা মামলা’সহ নরসিংদী, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলে সংঘটিত গণহত্যা, গুম, দমন-পীড়নের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম জানিয়েছে, মামলাগুলোর তদন্ত এখনো চলমান। আসামিদের প্রাথমিক শুনানির জন্য আদালতে হাজির করা হয়েছে এবং মামলার অগ্রগতি অনুযায়ী পরবর্তী সময় আবেদন জানানো হবে।
এদিন সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণজুড়ে ছিল নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে সাধারণ জনগণের চলাচল সীমিত রাখা হয় এবং সাংবাদিকদের উপস্থিতিও নির্দিষ্ট সংখ্যায় সীমিত রাখা হয়।
এই মামলাগুলো রাজনৈতিক ও মানবাধিকার মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকেও বিচার কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হন সাবেক সরকারের এসব শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তি ও কর্মকর্তারা। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর বিচার কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাধারা/এসআর