ঢাকা, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

জাকসু নির্বাচনে ৫ হলের অনানুষ্ঠানিক ফল, ভোট গণনা শেষ ১৭ হলে

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫, ০২:০৭ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হয়েছে ২১টি হলের মধ্যে ১৭টিতে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বেলা সোয়া ১টার দিকে এ তথ্য জানা যায়। এর মধ্যে পাঁচটি হলে সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের নাম প্রকাশ পেয়েছে।

মীর মশাররফ হোসেন হলে ভিপি পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জুবায়ের শাবাব। ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৮তম আবর্তনের এই শিক্ষার্থী পেয়েছেন ১৯১ ভোট। জিএস পদে বিজয়ী হয়েছেন শাহরিয়া নাজিম রিয়াদ (১৯২ ভোট) এবং এজিএস পদে আরাফাত (১৭৯ ভোট)।

শহীদ সালাম-বরকত হলে ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন রসায়ন বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের মারুফ, আর জিএস পদে জয়ী হয়েছেন মাসুদ রানা। সাবেক মুজিব হল (বর্তমানে ১০ নম্বর ছাত্র হল) থেকে ভিপি হয়েছেন আসিফ মিয়া, জিএস পদে মেহেদি হাসান এবং এজিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন নাদিম মাহমুদ।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে ভিপি পদে জয়ী হয়েছেন রাকিবুল ইসলাম, জিএস পদে আলী আহমদ এবং এজিএস পদে লাবিব। অন্যদিকে আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ভিপি পদে বিজয়ী হয়েছেন দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী জিএম রায়হান কবীর।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ২১টি হলে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। দুপুর পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে ভিড় কম থাকলেও বিকেলের পর থেকে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। বিকেল ৫টার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল ও তাজউদ্দীন আহমদ হলে সন্ধ্যার পরও ভোট গ্রহণ চলে। রাত ১০টার দিকে হাতে হাতে গণনা শুরু হয়। নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক রশিদুল আলম জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সংসদের ফল শুক্রবার দুপুরে প্রকাশ হতে পারে।

ভোটগ্রহণের দিন নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছিল। কোথাও ভোটার তালিকায় ছবি ছিল না, আবার কোথাও ভোটারদের আঙুলে অমোচনীয় কালি দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে একেক হলে একেক রকম নির্দেশনা কার্যকর করার অভিযোগও আসে প্রার্থীদের কাছ থেকে।

৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭৯ জন প্রার্থী। ১১ হাজার ৭৪৩ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন আট হাজার তিনজন; অংশগ্রহণের হার দাঁড়িয়েছে ৬৭ দশমিক ৯ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৩৪০টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৬২০ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ১৩১টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন প্রার্থীরা এবং ৬৮টি পদ শূন্য রয়েছে।

বাংলাধারা/এসআর