নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে দ্রুত বডি-ওর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক বডি-ওর্ন ক্যামেরা পৌঁছে দিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ভোটারদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করতে হবে যে তারা নিরাপদ পরিবেশে ভোট দিতে পারবে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি।”

তিনি নির্দেশ দেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই বডি-ওর্ন ক্যামেরা ক্রয় প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে, যাতে ভোটকালীন সময়ে সম্ভাব্য সহিংসতা বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি দ্রুত শনাক্ত ও প্রতিরোধ করা যায়।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, “নির্বাচন ঘিরে কোনো পক্ষ যেন অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়ে আইন প্রয়োগের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি এমন কাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যেখানে জবাবদিহিতা ও নজরদারি দুটোই থাকবে।”

বৈঠকে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, বর্তমানে দেশে সীমিত সংখ্যক বডি-ওর্ন ক্যামেরা মজুদ আছে, যা ব্যবহার করে প্রাথমিক পর্যায়ের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নতুন ক্যামেরাগুলো আসার পর ধাপে ধাপে সারাদেশে পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “নতুন বডি-ওর্ন ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সময়ে ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ সরাসরি মনিটর করা সম্ভব হবে। কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলের পাশাপাশি প্রতিটি জেলা ও থানা পর্যায় থেকেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা যাবে।”

প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে জোর দিয়ে বলেন, “এই নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচন। তাই প্রস্তুতি নিতে হবে যথাযথ পেশাদারিত্বের সঙ্গে।”

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই বডি-ওর্ন ক্যামেরা সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।

বাংলাধারা/এসআর