গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চাইল সরকার
প্রকাশিত: নভেম্বর ০৩, ২০২৫, ০৩:৫৫ দুপুর
ছবি: সংগৃহিত
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং গণভোট আয়োজনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্রুত ঐক্যমত্য চায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ নিয়ে আলোচনা ও সুপারিশ দিতে দলগুলোকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নিজেদের মতামত জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের করবী হলে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ এবং গণভোট আয়োজনের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে দেখা যায়, কমিশনে দীর্ঘ আলোচনার পরও কিছু সংস্কার-সংক্রান্ত প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনো মতবিরোধ রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, “গণভোটের সময় ও বিষয়বস্তু নিয়ে যে মতভেদ তৈরি হয়েছে, তাতে সরকার উদ্বিগ্ন। এখন জরুরি ভিত্তিতে একটি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজনৈতিক দলগুলো যদি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছায় এবং এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে দিকনির্দেশনা দেয়, তাহলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক সহজ হবে। “বর্তমান পরিস্থিতিতে সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই,” বলেন আইন উপদেষ্টা।
সভায় জুলাই সনদ নিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ধন্যবাদ জানানো হয়। একইসঙ্গে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংস্কার প্রক্রিয়ায় সব পক্ষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
এ সময় উপদেষ্টা পরিষদ আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সরকারের অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করে।
সভা শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “গণভোটের তারিখ ও বিষয়বস্তু নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে তার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য পাওয়া জরুরি। সরকার সেই দিকেই এগোচ্ছে।”
বাংলাধারা/এসআর
