ঢাকা, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

 প্রকাশিত: নভেম্বর ০৫, ২০২৫, ১১:২৪ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

নিউইয়র্ক সিটির ১১১তম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি। এর মাধ্যমে তিনি শহরটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন।

গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জোহরান মামদানি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাবেক গভর্নর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুয়োমো এবং রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াকে পরাজিত করেন।

নিউইয়র্ক সিটির নির্বাচন বোর্ড জানিয়েছে, এবার ভোটার উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রায় ১৭ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন, যা গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

৪০ বছর বয়সী জোহরান মামদানি একাধিক দিক থেকে ঐতিহাসিক রেকর্ড গড়েছেন। তিনি ১৮৯২ সালের পর শহরের সর্বকনিষ্ঠ মেয়র, একইসঙ্গে প্রথম মুসলিম মেয়র এবং আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া প্রথম ব্যক্তি, যিনি এই পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনী প্রচারণায় মামদানি নিউইয়র্কবাসীর জন্য জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো, বাড়িভাড়ার নিয়ন্ত্রণ, গণপরিবহন বিনামূল্যে করা এবং প্রতিটি শিশুর জন্য সেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন। এসব কর্মসূচির অর্থায়নের জন্য তিনি ধনীদের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপের প্রস্তাবও দেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অল্প পরিচিতি, সীমিত তহবিল এবং দলীয় সমর্থনের ঘাটতি সত্ত্বেও জোহরান মামদানির এই জয় “নিউইয়র্কের রাজনীতিতে পরিবর্তনের বার্তা” বহন করছে।

এর আগে, বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামস স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য লড়াইয়ের ঘোষণা দিলেও গত সেপ্টেম্বরে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান।

জোহরান মামদানি নিউইয়র্কের অ্যাস্টোরিয়া এলাকায় বসবাস করেন। তার জন্ম আফ্রিকায়, পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। তরুণ ও প্রবাসী ভোটারদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা এই নির্বাচনে নির্ণায়ক ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা।

তার বিজয়ের পর নিউইয়র্কজুড়ে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই বলছেন, “এটি শুধু একজন মানুষের নয়, বরং বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির নিউইয়র্কের জয়ের প্রতীক।”

বাংলাধারা/এসআর