ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

তারেকের উদ্দেশে ইসি সচিব—‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: নভেম্বর ০৯, ২০২৫, ০২:২৯ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের দাবিতে ১২৩ ঘণ্টা ধরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রধান ফটকের সামনে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ‘আম জনতার দল’-এর সদস্যসচিব তারেক রহমান। কিন্তু এই অনশন যত দীর্ঘই হোক না কেন, নিয়মের বাইরে গিয়ে কিছুই করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।

রবিবার (৯ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসি সচিব স্পষ্ট ভাষায় বলেন,

“৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই। আপনি বলুন তো, ইলেকশন কমিশন কি নিয়মের বাইরে যেতে পারে? তাহলে আপনার উত্তর পেয়ে গেছেন।”

এদিকে অনশনরত তারেক রহমানের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটছে। শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মূল গেটের সামনে দেখা যায়, তার হাতে স্যালাইন লাগানো, শরীর ভীষণ দুর্বল। তবু তিনি অনশন ভাঙতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

তারেক রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন,“অবশ্যই আমি আমার সিদ্ধান্তে অনড় আছি। এটা চলবে, অবশ্যই চলবে। ওরা তিনটা উপজেলা কোথায় পেয়েছে? পরে সেটা ৩৩ কিভাবে হলো, এটা আমি মানতে পারছি না।”

তিনি আরও জানান, ইসি থেকে এখন পর্যন্ত আর কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

“সেদিন (বৃহস্পতিবার) একজন উপসচিব এসেছিলেন। এরপর কেউ আসেনি, কোনো চিঠি বা বার্তা দেয়নি।”

নিজের শারীরিক অবস্থার কথা বলতে গিয়ে তারেক বলেন, “শরীরে খুব ব্যথা করছে, তবু আমি অনশন চালিয়ে যেতে চাই। ন্যায়ের দাবিতে শেষ পর্যন্ত থাকব।”

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন চূড়ান্তভাবে তিনটি নতুন দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), ও বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি। তবে তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় ‘আম জনতার দল’। ওইদিন বিকেলেই ক্ষোভে-প্রতিবাদে ইসির প্রধান ফটকে অনশন শুরু করেন তারেক রহমান।

এর পর থেকে প্রতিদিন সেখানে জড়ো হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক কর্মী ও সহানুভূতিশীল নাগরিকরা। কেউ আসছেন সংহতি জানাতে, কেউ শুধু দেখতে। অনশনস্থলে এখন মানবিক সহমর্মিতা ও প্রত্যয়ের মিশ্র এক দৃশ্য।

ইসি সচিবের কঠোর বক্তব্যে স্পষ্ট, নিয়ম ও আইন মেনে না হলে কোনো দলকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। অন্যদিকে, তারেক রহমানও অনড় তাঁর দাবিতে। ফলে এই অনশন কোথায় গিয়ে শেষ হবে, সেটাই এখন সময়ের প্রশ্ন।

বাংলাধারা/এসআর