ঢাকা, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর আইএস দমনে যুক্তরাষ্ট্রের জোটে যোগ দিচ্ছে সিরিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

 প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৫, ০২:৩৮ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) দমনে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক জোটে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিচ্ছে সিরিয়া। হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার ঐতিহাসিক বৈঠকের পর এই ঘোষণা এসেছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির এক যুগান্তকারী পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সোমবার (যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময়) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের পর ট্রাম্প প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন যে, সিরিয়া এখন যুক্তরাষ্ট্রের আইএস-বিরোধী বৈশ্বিক জোটের ৯০তম সদস্য হতে যাচ্ছে। এই জোটের মূল লক্ষ্য হলো মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলামিক স্টেটের অবশিষ্ট শক্তিকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা।

কিছুদিন আগেও যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী তালিকায় থাকা আহমেদ আল-শারা এবার প্রথমবারের মতো একজন সিরীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওয়াশিংটন সফর করলেন। বৈঠকের পর ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শারা বলেন, “এই সফর আমাদের জন্য নতুন যুগের সূচনা। আমরা এখন সহযোগিতা ও পারস্পরিক আস্থার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে চাই।”

ডোনাল্ড ট্রাম্পও শারার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বলেন, “আমরা চাই সিরিয়া একটি স্থিতিশীল ও সফল রাষ্ট্রে পরিণত হোক। আমার বিশ্বাস, প্রেসিডেন্ট শারা সেই পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হবেন।”

বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নতুন এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর থেকে বহুল আলোচিত ‘সিজার আইন’ ১৮০ দিনের জন্য স্থগিত করেছে। ২০১৯ সালে চালু হওয়া এই আইনের আওতায় সিরিয়ার পূর্ববর্তী সরকারের ওপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।

ট্রাম্প প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শিগগিরই মার্কিন অর্থ বিভাগ, পররাষ্ট্র দফতর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ঘোষণা দেবে। পাশাপাশি সিরিয়ায় বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে নতুন দিকনির্দেশনাও তৈরি করা হবে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও সিরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত ছিল। তবে সোমবারের বৈঠকের পর ওয়াশিংটনে সিরীয় দূতাবাস পুনরায় চালুর অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন—যা দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনের পথে এক ঐতিহাসিক অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বাংলাধারা/এসআর