ঢাকা, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ট্রাইব্যুনালে হাজির রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি মামুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৫, ১১:২৯ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অন্যতম আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। 

কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রিজনভ্যানে করে তাকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। মামলার অপর দুই আসামি, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, এখনো পলাতক।

বেলা ১১টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন। 

প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। রায়কে ঘিরে সুপ্রিম কোর্ট ও ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা। 

পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএন, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন আছেন। পাশাপাশি মাঠে রয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ নজরদারি। নিরাপত্তার স্বার্থে দোয়েল চত্বর থেকে শিক্ষাভবনমুখী সড়ক গতকাল সন্ধ্যা থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সীমিত করা হয়েছে সাধারণ মানুষের চলাচলও।

এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত হয় গত ১৩ নভেম্বর। এর আগে ২৮ কার্যদিবসের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ মোট ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন করে। এরপর ৯ কার্যদিন ধরে চলে প্রসিকিউশন এবং স্টেট ডিফেন্সের যুক্তিতর্ক ও পাল্টা যুক্তি। সর্বশেষ ২৩ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের সমাপনী বক্তব্যের পর রায় ঘোষণার জন্য সময় নেয় ট্রাইব্যুনাল।

প্রসিকিউশন শেখ হাসিনা এবং সাবেক মন্ত্রী কামালের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেছে। তবে সাবেক আইজিপি মামুন যেহেতু রাজসাক্ষীতে পরিণত হয়েছেন, তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়। তার আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ অবশ্য মামুনের খালাস দাবি করেছেন।

তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উসকানি, অস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখাঁরপুলে হত্যাকাণ্ড এবং আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর অভিযোগ। 

মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগের পরিমাণ ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠা। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণ চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকা দুই হাজার সাত শত চব্বিশ পৃষ্ঠা। মোট ৮৪ জনকে সাক্ষী তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। গত ১২ মে তদন্ত সংস্থা চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।

বাংলাধারা/এসআর