গাজায় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব পাস জাতিসংঘে
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৫, ০৮:২৯ সকাল
ছবি: সংগৃহিত
গাজায় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আনা প্রস্তাব অনুমোদন করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ বাহিনীর কাঠামো নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছে পরিষদ।
রায় পাসের পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হামাস। সোমবার (১৭ নভেম্বর) আল জাজিরাকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনটি স্পষ্ট জানায়, গাজায় কোনো বিদেশি সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি তারা মেনে নেবে না। হামাসের এক মুখপাত্র বলেন, “এটি হবে ইসরায়েলি দখলের বদলে বিদেশি অভিভাবকত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা। গাজায় জনগণের নিরাপত্তা ও শাসনের অধিকার বাহিরের কারও হাতে দিতে রাজি নই।”
এই পরিস্থিতির মধ্যেই গাজার দারাজ এলাকার একটি স্কুল, যা বর্তমানে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, সেখানে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় অন্তত ১৩ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
গাজা প্রশাসন জানায়, শীতের তীব্রতা বাড়ায় বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়ের সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে কমপক্ষে তিন লাখ তাঁবুর প্রয়োজন এমন দাবি করে তারা বলে, জরুরি সহায়তা ছাড়া বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে উঠবে।
ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৬৯ হাজার ৪৮৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ৭০৬ জন। এ সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে হওয়া হামলায় ১ হাজার ১৩৯ ইসরায়েলি নিহত হন এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করা হয়। সেই ঘটনার পর থেকেই ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অভিযান চলছে গাজায়।
বাংলাধারা/এসআর
