সৌদি আরবকে ন্যাটোর বাইরের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ঘোষণা করলেন ট্রাম্প
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫, ১১:২৬ দুপুর
ছবি: সংগৃহিত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবকে ন্যাটোর বাইরের যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিত্র (নন-ন্যাটো মেজর অ্যালাই) হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত করেছেন। হোয়াইট হাউসে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে উপস্থিত অতিথিদের সামনে তিনি এ ঘোষণা দেন। এতে ওয়াশিংটন-রিয়াদ প্রতিরক্ষা সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায় সূচিত হলো।
নৈশভোজে ট্রাম্প বলেন, “আজ রাতে আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমরা সৌদি আরবকে ন্যাটোর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবে ঘোষণা করছি। সামরিক সহযোগিতা আরও উচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হচ্ছে, যা সৌদি আরবের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই ঘোষণা প্রকাশের বিষয়টি সৌদি পক্ষ কিছুটা গোপন রাখতে চেয়েছিল, তাই এটি প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে জানানো হলো।
ট্রাম্পের মতে, নতুন এই মর্যাদা দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে আরও গভীর করবে এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় শক্তিশালী প্রতীকী গুরুত্ব তৈরি করবে। তিনি বলেন, “এটি মার্কিন-সৌদি প্রতিরক্ষা সমন্বয়কে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে।”
ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান যুক্তরাষ্ট্রে উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “এখানে এসে আমি নিজের ঘরেই ফিরে আসার অনুভূতি পাচ্ছি।” দুই দেশের দীর্ঘ ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, “মার্কিন–সৌদি অংশীদারিত্ব প্রায় নয় দশক আগে রুজভেল্ট ও বাদশাহ আব্দুল আজিজের বৈঠকের সময় থেকে শুরু হয়েছে।”
ট্রাম্পের আমন্ত্রণে মোহাম্মদ বিন সালমান যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পর দুই নেতার মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সামরিক অস্ত্র ক্রয় চুক্তি, পারমাণবিক সহযোগিতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এবং যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে যুবরাজ জানান, যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি বিনিয়োগ ৬০ হাজার কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ কোটি ডলারে উন্নীত করা হচ্ছে। এছাড়া সৌদি আরবের কাছে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
নতুন এ ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অবস্থান ও সৌদি আরবের নিরাপত্তা সহযোগিতা উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
বাংলাধারা/এসআর
