সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনা-নৌ-বিমানবাহিনীকে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা
প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২৫, ০৯:৩২ রাত
ছবি: সংগৃহিত
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এই শুভেচ্ছা জানান এবং সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য প্রার্থনা করেন।
তারেক রহমান বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস জাতির গৌরবময় ইতিহাসের একটি অংশ। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সামরিক বাহিনী গঠিত হওয়ায় দিনটি স্বাধীনতার সংগ্রাম ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতিবছর পালন করা হয়। তিনি লেখেন, “নির্ভীক সাহসিকতা, শৌর্য ও শৃঙ্খলাবদ্ধ আচরণের মাধ্যমে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনী জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে তাঁদের অসীম সাহসের গল্প ইতিহাসের উজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে আছে।”
দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের প্রশংসা করে তারেক রহমান বলেন, বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা অতন্দ্র প্রহরীর মতো দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী সদস্যদের অবদান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের সম্মান ও বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়িয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্বিপাকের সময় সশস্ত্র বাহিনীর মানবিক ও বলিষ্ঠ ভূমিকা তাদের প্রতি জাতির আস্থা আরও সুদৃঢ় করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নিজ বার্তায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, “মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান আধুনিক, সুশিক্ষিত ও পেশাদার সশস্ত্র বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছিলেন। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বমানের দক্ষ বাহিনীতে পরিণত হয়।” তিনি আরও যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বেগম খালেদা জিয়াও বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নেন, যা বৈশ্বিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তারেক রহমান লেখেন, “মুক্তিযুদ্ধে জীবনদানকারী বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল, মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, হামিদুর রহমান, রুহুল আমিন, মতিউর রহমান, নূর মোহাম্মদ শেখ ও মুন্সী আব্দুর রউফকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।” তিনি সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করে বলেন, “আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
বাংলাধারা/এসআর
