ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিবের স্পষ্ট বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: ডিসেম্বর ০১, ২০২৫, ১২:২১ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম ফেসবুকে একটি পোস্টে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের পথে রয়েছে। তিনি কালের কণ্ঠে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের লিংক শেয়ার করে বলেন, সাংবাদিক জিল্লুর রহমান বলেছেন, তিনি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখছেন না। তবে তিনি নিজে মনে করেন, নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন।

প্রেসসচিব জানান, নির্বাচনের নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত। রেকর্ডসংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও নজিরবিহীন সংখ্যক সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে। ইতোমধ্যেই নতুন ডিসি ও এসপি পোস্টিং সম্পন্ন হয়েছে এবং নতুন পোস্টিং নিয়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নও ওঠেনি।

শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জুলাই চার্টারের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ভিত্তি স্থাপিত হওয়ায় দলগুলো এবং নাগরিকরা একই দিনে অনুষ্ঠিতব্য গণভোটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তিনি সাংবাদিক জিল্লুর রহমানের মন্তব্যকেও সমালোচনা করেন। তার ভাষায়, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই এমন দাবি করা বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবতার অতিরঞ্জন। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কোনো দলকে নির্বাচনের বাইরে রাখাকে অবিশ্বাসযোগ্য বা অংশগ্রহণহীন বলার সঙ্গে তিনি একমত নন। দেশের জনগণের বড় অংশও এমন ধারণা মানে না।

শফিকুল আলম আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এখনো মনে করে অগ্নিসংযোগ বা ককটেল হামলার মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তাদের রাজনীতিতে পুনরায় প্রবেশের পথ খুলতে পারে। আন্তর্জাতিক সহযোগীরাও বিশ্বাস করেন না যে প্রকাশ্য ক্ষমাপ্রার্থনা ও বিচার ছাড়া দলটি স্বাভাবিক রাজনীতিতে ফিরতে পারবে।

প্রেসসচিব সাংবাদিক জিল্লুর রহমানের মনোলগ ভিডিও বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ভিডিওগুলিতে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হয় এবং ভুয়া তথ্যবাহক ব্যক্তিদেরও মঞ্চ দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি আশ্বস্ত করেন, জনগণ নিজের বিচার-বিবেচনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম।

শেষে শফিকুল আলম পুনর্ব্যক্ত করেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না এবং অন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করবে।

বাংলাধারা/এসআর