পরীক্ষা বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার, শাস্তির মুখে সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকরা
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ০২, ২০২৫, ০৩:২৫ দুপুর
ছবি: সংগৃহিত
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনে পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়ায় কঠোর অবস্থানে গেছে সরকার। সরকারি কর্মচারী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার।
সোমবার বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “আন্দোলনের নামে শিক্ষকরা যে পরীক্ষাবন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা সরাসরি সরকারি আচরণবিধি লঙ্ঘন। এর পরিণতির জন্য তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার এ বিষয়ে খুবই দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো ধরনের আপস হবে না। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে ফেলে কোনো দাবি আদায় করা যায় না। শিক্ষক হিসেবে এটি অত্যন্ত অনৈতিক আচরণ।”
শিক্ষা উপদেষ্টা কঠোর ভাষায় বলেন, শিক্ষকরা এমন এক সময় দাবি তুলেছেন, যখন সারা দেশে বার্ষিক ও টেস্ট পরীক্ষা চলছে। তিনি বলেন, “দাবি আদায়ের জন্য শিক্ষার্থীদের ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে- যা শিক্ষকতার নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”
শিক্ষকদের নবম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি প্রসঙ্গে ড. আবরার বলেন, এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও চাকরির শর্তবহির্ভূত। তিনি বলেন, “চাকরি গ্রহণের সময় শিক্ষকরাই জানতেন যে তাঁরা দশম গ্রেডে থাকবেন। এখন হঠাৎ নবম গ্রেডের দাবি তোলা অন্যায়।”
তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, নবম গ্রেডে সাধারণত বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা যোগ দেন। তাই এটি এককভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বিষয় নয়, বরং আন্তঃমন্ত্রণালয় প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। “এই গ্রেডে যেকেউ চাইলে ঢুকতে পারেন না”- বলেন তিনি।
শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আগামীকাল থেকেই পরীক্ষা নিতে হবে। অন্যথায় সরকারি কর্মচারী হিসেবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে যেসব শাস্তির বিধান রয়েছে, তা প্রয়োগে সরকার বাধ্য হবে।”
তিনি মনে করিয়ে দেন, পরীক্ষা বন্ধের কারণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মানসিক চাপ বাড়ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বাংলাধারা/এসআর
