বাংলাদেশে ফিরলে তারেক রহমানকে দেওয়া হবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫, ০৪:০৩ দুপুর
ছবি: সংগৃহিত
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার জোর আলোচনা চলছে। তবে সাম্প্রতিক এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত তাঁর ‘একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়’। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভ্রান্তি তৈরি হলেও সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, তারেক রহমান দেশে ফিরলে তিনি পাবেন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, দেশে প্রবেশের পর থেকেই তারেক রহমানকে বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় রাখা হবে। প্রয়োজন হলে তাকে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) নিরাপত্তাও দেওয়া হবে। কোন স্তরের নিরাপত্তা দেওয়া হবে, সে বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত যথাসময়ে জানানো হবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সরকার বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করে এসএসএফ নিরাপত্তা দিয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক কোনোভাবেই তিনি ঝুঁকিতে নেই বলে দাবি তাদের।
তারেক রহমানের দেশে ফিরতে বিলম্ব হচ্ছে কেন,এ নিয়ে নানা আলোচনা থাকলেও এখন পর্যন্ত দেশে ফেরার কোনো উদ্যোগ নেননি তিনি। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) পর্যন্তও তার ফ্লাইট বা ভ্রমণসংক্রান্ত কোনো প্রস্তুতি পাওয়া যায়নি। এদিন খালেদা জিয়ার কিছু মেডিকেল টেস্ট রয়েছে। টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তাঁকে বিদেশে নেওয়া সম্ভব কি না, সেটি পরীক্ষা করা হবে। বিদেশে নেওয়া সম্ভব না হলে জরুরি পরিস্থিতিতে তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন। একটি সূত্র জানায়, তিনি ডিসেম্বরের ১১ তারিখের মধ্যে দেশে ফিরতে পারেন।
এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করেই তারেক রহমান দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন। “পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলে তিনি শিগগিরই ফিরবেন বলে আশা করি,” বলেন তিনি।
এদিকে, লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের বাংলাদেশি পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। দেশে ফিরতে হলে তাকে নতুন পাসপোর্ট, অন্য দেশের পাসপোর্ট অথবা ট্রাভেল পাস নিতে হবে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, তারেক রহমান চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাভেল পাস দেওয়া হবে, তবে তিনি এখনো আবেদন করেননি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশে নিরাপত্তাহীনতার কোনো পরিস্থিতি নেই। তিনি বলেন, “কারো যদি বিশেষ নিরাপত্তার প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে সরকার তা দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”
গত ২৩ নভেম্বর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেই বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার সময়সূচি চূড়ান্ত হবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
বাংলাধারা/এসআর
