অবিস্মরণীয় ৬ ডিসেম্বরকে স্মরণ করে বার্তা দিলেন তারেক রহমান
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ০৬, ২০২৫, ১২:৫০ দুপুর
ছবি: সংগৃহিত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ইতিহাসে ৬ ডিসেম্বর এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৯০ সালের এই দিনে দীর্ঘ নয় বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে, রক্তঝরা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশ ফিরে পায় বহুদলীয় রাজনীতির পথ।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে করা এক পোস্টে তিনি বলেন, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে অস্ত্রের মুখে ক্ষমতাচ্যুত করে এরশাদ যে অসাংবিধানিক শাসন জারি করেছিলেন, তা ছিল গণতন্ত্র হত্যার নির্মম উদাহরণ। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেভাবে বহুদলীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন- এরশাদের একদলীয় শাসন সেই ভিত্তিকে ধ্বংস করে দেয়।
তারেক রহমান লিখেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অপরাজেয় নেতৃত্ব দিয়েছেন। দীর্ঘ সংগ্রামের পথে তিনি ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে জাতির আস্থা অর্জন করেন। ছাত্র সমাজ, পেশাজীবী, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের যৌথ আন্দোলনে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচারের পতন ঘটে- দেশ ফিরে পায় মুক্ত রাজনীতি।
বর্তমান প্রেক্ষাপটেও সেই গণতান্ত্রিক চেতনার পুনর্জাগরণ দেখতে পাওয়া যায় বলে মন্তব্য করেন তিনি। তারেক রহমান বলেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার মিলিত শক্তি আবারও একটি হিংস্র ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাস্ত করেছে। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসন গণতন্ত্রের সবচেয়ে ভয়ংকর শত্রু হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্র-সমাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সুদৃঢ় করতে বিএনপি ও জাতীয়তাবাদী শক্তির সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। একইসঙ্গে তিনি গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
পোস্টে ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এই দিনটি স্মরণ করিয়ে দেয় গণতন্ত্রের জন্য আত্মত্যাগের গৌরবময় ইতিহাস, যা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
শেষে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে আহ্বান জানান- গণতন্ত্রবিরোধী পরাজিত শক্তির যেন কোনোভাবে পুনরুত্থান না ঘটে, সেজন্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে আরও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বাংলাধারা/এসআর
