জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার গভীর শ্রদ্ধা
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫, ১২:৪৩ দুপুর
ছবি: সংগৃহিত
আজ ১৪ ডিসেম্বর- শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বিজয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে এসে জাতি হারিয়েছিল তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। সেই শোকাবহ স্মৃতি আর গভীর শ্রদ্ধায় রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার সকাল ৭টা ৩ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে শহীদদের স্মরণ করেন। এরপর সকাল ৭টা ২২ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর- নীরব পরিবেশে আরও গভীর হয়ে ওঠে শোক ও শ্রদ্ধার আবহ। পরে প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, প্রধান বিচারপতি ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বুদ্ধিজীবীরা একটি জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির অন্যতম রূপকার। মুক্তবুদ্ধির চর্চা, সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী শক্তি ও গণতান্ত্রিক চেতনার বিকাশের মাধ্যমে তাঁরা একটি জ্ঞানভিত্তিক জাতি গঠনে ভূমিকা রাখেন।
তিনি বলেন, পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা জাতিকে মেধাশূন্য করার নীলনকশার অংশ হিসেবেই দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, সাংবাদিক, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, আইনজীবী ও শিল্পীদের নির্মমভাবে গুম ও হত্যা করে। স্বাধীনতার শুরুতেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর ক্ষত বাংলাদেশ আজও বহন করে চলেছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর বাণীতে বলেন,
“বাঙালি জাতির বিজয়ের প্রাক্কালে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি পরিকল্পিতভাবে দেশের মেধাবী সন্তানদের হত্যা করে, যাতে স্বাধীন বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ ও মেধাশূন্য রাষ্ট্রে পরিণত করা যায়।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা একটি গণতান্ত্রিক, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন- যে স্বপ্ন আজও আমাদের পথ দেখায়।
বিজয়ের ঊষালগ্নে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর দুঃসহ যন্ত্রণার দিন ১৪ ডিসেম্বর- বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে এক গভীর বেদনার দিন, এক চিরন্তন শোকের অধ্যায়।
বাংলাধারা/এসআর
