ঢাকা, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২

শহীদ হাদির কবর ঘিরে মানুষের ঢল, রাতেও চলবে পুলিশি প্রহরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২৫, ০৮:৫১ রাত  

ছবি: বাংলাধারা

শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করতে এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত নামলেও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশের কবরস্থান এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধ সংলগ্ন প্রবেশপথে মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়েছে। কেউ বাইরে দাঁড়িয়ে নীরবে দোয়া করছেন, কেউ কবর দেখার অপেক্ষায় আছেন, আবার কেউ কেউ স্মৃতি ধরে রাখতে মোবাইলে ছবি তুলছেন।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে সাতটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, কবরস্থানের সামনের অংশে আগে গড়ে তোলা নিরাপত্তা বলয় আংশিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে শাহবাগ থানা ও টিএসসি এলাকায় বসানো ব্যারিকেডও সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে পুরো এলাকা জুড়ে বিভিন্ন পয়েন্টে এখনো পুলিশ সদস্যদের অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।

কবরস্থানে প্রবেশের জন্য ব্যবহৃত কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের গেট এবং বাইরের মূল ফটকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে রাতের বেলায় কবরস্থানের ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ কেবল বাইরের অংশ থেকেই দোয়া ও জিয়ারত করতে পারছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পরিস্থিতি বিবেচনায় রাতে কবরস্থানে পুলিশি প্রহরা অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে আগামীকালও এই এলাকায় বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখা হতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে এখনই কবরস্থান সর্বসাধারণের জন্য পুরোপুরি খুলে দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়নি।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধের পাশে শহীদ শরিফ ওসমান হাদিকে দাফন করা হয়। দাফনকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, *আমার দেশ* সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, ডাকসুর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং হাদির পরিবার-পরিজন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের উপস্থিতিতে শহীদ হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন তার বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।

 

বাংলাধারা/এসআর