শীতে নিয়ম মেনে খান টক দই
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ০৭, ২০২৫, ১০:৪৩ রাত
ছবি: সংগৃহিত
টক দইয়ের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। তবে শীত এলেই দইকে দূরে সরিয়ে রাখেন অনেকে—কারণ ধারণা, ঠান্ডা খাবার হিসেবে এটি সর্দি-কাশি বাড়াতে পারে। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, সঠিকভাবে খেলে শীতেও টক দই হতে পারে অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার।
দই মূলত প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক, অর্থাৎ এতে রয়েছে হজমের সহায়ক ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো “ভালো ব্যাকটেরিয়া”। নিয়মিত দই খেলে শরীর যেভাবে উপকৃত হয়-
হজমশক্তি বাড়ায়
শীতের মৌসুম মানেই নানা অনুষ্ঠান, ভারী খাবার ও হজমের সমস্যা। টক দই পেট ঠান্ডা রাখে, অ্যাসিডিটি কমায় এবং ফাঁপাভাব দূর করে। ফলে হজমের গোলমাল কম দেখা যায়।
হাড় ও পেশি শক্ত করে
দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন হাড়ের ঘনত্ব ধরে রাখতে এবং পেশিকে মজবুত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বয়স্ক বা শিশু-সবারই নিয়মিত দই খাওয়া উপকারী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
দইয়ে প্রচুর জিঙ্ক, ভিটামিন বি-১২ ও রিবোফ্লাভিন থাকে, যা ভাইরাসজনিত সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরকে লড়াই করতে সাহায্য করে। শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে দই হতে পারে দারুণ সঙ্গী।
ত্বক ও চুল ভালো রাখে
টক দইয়ের পুষ্টিগুণ শুধু ভেতরে নয়, বাইরে থেকেও প্রভাব ফেলে। নিয়মিত দই খেলে ত্বক থাকে উজ্জ্বল ও আর্দ্র, আর চুল হয় আরও মজবুত।
কখন দই না খাওয়াই ভালো
আয়ুর্বেদ মতে, দই কফবর্ধক খাবার। যাদের ঠান্ডা-কাশি, সাইনাসের সমস্যা বা নাক বন্ধের প্রবণতা বেশি, তাদের বিশেষ করে রাতে দই খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। রাতে দই হজম ধীর করে এবং শ্বাসনালীর কফও বাড়াতে পারে।
শীতে দই খাওয়ার সঠিক নিয়ম
ফ্রিজের ঠান্ডা দই সরাসরি খাবেন না। ঘরের তাপমাত্রায় এনে খান, প্রয়োজন হলে সামান্য গরমও করতে পারেন।
দুপুরে খেলে সবচেয়ে ভালো, কারণ তখন হজমশক্তি সক্রিয় থাকে।
দইয়ের সঙ্গে ভাজা জিরা, গোলমরিচ গুঁড়া বা বিট লবণ মিশিয়ে খেলে হজম সহজ হয় এবং কফ কমে।
বাংলাধারা/এসআর
