সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশের দরকার ১৩৩ রান
প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৫, ০৯:৩৭ রাত

ছবি: সংগৃহিত
শ্রীলঙ্কার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। তবে বাংলাদেশের অফস্পিনার মেহেদী হাসানের অসাধারণ বোলিংয়ে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ ধসে পড়ে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা ১৩২ রান সংগ্রহ করে, ফলে সিরিজ জিততে বাংলাদেশকে ১৩৩ রান করতে হবে। এই লক্ষ্য মাঝারি হলেও, উইকেটের ধীর গতি এবং শ্রীলঙ্কার শক্তিশালী স্পিন আক্রমণের কারণে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সতর্ক ব্যাটিং করতে হবে।
বাংলাদেশের অফস্পিনার মেহেদী হাসান বল হাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজের করে নেন। তিনি শুরুতেই কুশল পেরেরাকে ফিরিয়ে দেন। এরপর একে একে বিদায় করেন চান্দিমাল, অধিনায়ক আসালঙ্কা এবং সেট হয়ে যাওয়া পাথুম নিশাঙ্কাকে। এই চার উইকেটেই মেহেদী নিজেই মূল ভূমিকা রাখেন। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি, যা টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তার সেরা বোলিং ফিগার।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসে মাত্র দুটি উল্লেখযোগ্য ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখা যায়—পাথুম নিশাঙ্কার ৪৬ রান এবং দাসুন শানাকার অপরাজিত ৩৫ রান। নিশাঙ্কা শুরু থেকেই এক প্রান্ত ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তবে ১০ম ওভারে মেহেদীর বলে তিনিও আউট হন। এরপর ইনিংসকে কিছুটা গতি দেন কামিন্দু মেন্ডিস (২১)। তবে ১৬.৬ ওভারে ১০৩ রানে সপ্তম উইকেট হারানোর পর শ্রীলঙ্কার স্কোরবোর্ডে রানের গতি অনেকটাই কমে যায়।
তবে ইনিংসের শেষ ওভারে বাংলাদেশের পেসার শরীফুলকে লক্ষ্য করে ঝড়ো ব্যাটিং করেন শানাকা। এক ওভারে ছয় ও চারের মারে ২২ রান আদায় করে নেন তিনি, যা শ্রীলঙ্কার স্কোর ১৩০ ছাড়িয়ে যেতে সাহায্য করে।
সিরিজ বর্তমানে ১-১ সমতায় রয়েছে। এই ম্যাচ জিতলেই শিরোপা বাংলাদেশের ঘরে উঠবে। ১৩৩ রানের এই লক্ষ্য তাড়া করতে লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেনদের মতো ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। কলম্বোর মন্থর উইকেটে শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের বিপক্ষে কোনো ভুল করলে ম্যাচটি হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। এখন দেখার বিষয়, বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সিরিজ জিততে পারে কিনা।
বাংলাধারা/এসআর