ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২

নারী দলের বিশ্বকাপ জয়ে আবেগে কেঁদে ফেললেন রোহিত শর্মা

স্পোর্টস্ ডেস্ক

 প্রকাশিত: নভেম্বর ০৩, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে রবিবারের রাতটি হয়ে থাকল অবিস্মরণীয়। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে হারমানপ্রীত কৌরের নেতৃত্বে ভারতীয় নারী দল প্রথমবারের মতো আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতে নিল। নাভি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে উপচে পড়া দর্শকের সামনে জন্ম নিল এই মহাকাব্যিক মুহূর্ত, যে রাতে আবেগ সামলাতে পারলেন না রোহিত শর্মাও।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫২ রানের দুর্দান্ত জয়ে ভারতীয় নারীরা যখন উল্লাসে মেতে ওঠে, তখন স্টেডিয়ামের ভিআইপি গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে হাততালি দিতে দিতে চোখের পানি মুছছিলেন রোহিত। টেলিভিশন ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই আবেগঘন দৃশ্য, ভারতের সফলতম অধিনায়কদের একজন, চোখে জল, মুখে গর্বের হাসি।

ম্যাচটি দেখতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকর, বিসিসিআই চেয়ারম্যান জয় শাহ, সচিব দেবজিত সাইকিয়া, সভাপতি মিঠুস মানহাসসহ আরও অনেকে। ছিলেন নীতা আম্বানি ও আকাশ আম্বানিও। পুরো ম্যাচজুড়ে তাঁরা নারী দলকে করতালিতে উৎসাহ দিয়েছেন।

ম্যাচের শেষ মুহূর্তে, হারমানপ্রীত কৌর যখন নাদিন ডি ক্লার্কের ক্যাচ ধরে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন, গ্যালারি তখন একসঙ্গে ফেটে পড়ে আনন্দে। আর ঠিক সেই সময় দেখা যায়, শৈশবের ক্রিকেট মাঠে দাঁড়িয়ে পরিবারের সঙ্গে চোখভরা আনন্দে কাঁদছেন রোহিত শর্মা।

বিশ্বকাপ জয়ের অনুভূতি রোহিতের কাছে নতুন নয়। তাঁর নেতৃত্বে ভারত জিতেছে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও খেলোয়াড় হিসেবে শিরোপা জেতার স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি।

তবু ওডিআই বিশ্বকাপের স্বপ্নটা এখনো অপূর্ণ। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার ভারতের কোটি ভক্তের মতো রোহিতকেও গভীরভাবে ভেঙে দিয়েছিল। সেই ম্যাচে ট্রাভিস হেডের ইনিংসে ভেসে গিয়েছিল ভারতের শিরোপার আশা।

বর্তমানে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়া রোহিতের নজর এখন ২০২৭ ওডিআই বিশ্বকাপের দিকে। ফর্ম ধরে রাখতে সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হয়েছেন সিরিজসেরা। নিজের স্বপ্ন পূরণের লড়াই চলছে, আর রবিবার রাতে নারী দলের জয় যেন তাঁকে নতুন করে অনুপ্রেরণা দিল।

এক আবেগঘন সন্ধ্যায় ভারতীয় ক্রিকেট পেল দুই জয়, একটি মাঠে, আরেকটি হৃদয়ে।

বাংলাধারা/এসআর