ঢাকা, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

বিপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত

স্পোর্টস্ ডেস্ক

 প্রকাশিত: ডিসেম্বর ০৪, ২০২৫, ০১:৩৪ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ইতিহাসে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা শুরু থেকেই বড় আকর্ষণ। শহিদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিকদের পথ ধরে সাম্প্রতিক সময়ে সাইম আয়ুব, আবরার আহমেদের মতো তরুণ তারকারাও নিয়মিত খেলছেন। আসন্ন আসরের নিলামেও বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি তারকাকে দলে ভিড়িয়েছে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি।

তবে পুরো মৌসুমে তাদের পাওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে গুরুতর অনিশ্চয়তা। ক্রিকেটভিত্তিক গণমাধ্যম ক্রিকবাজ জানিয়েছে, পাকিস্তান দলের ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সূচির কারণে অনেক খেলোয়াড়ই বিপিএলের পুরো সময় মাঠে থাকতে পারবেন না। এ অবস্থায় বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ইতোমধ্যে বিকল্প খেলোয়াড় খোঁজার কাজ শুরু করেছে।

চলতি ডিসেম্বরের ২৬ তারিখ থেকে আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বিপিএলের অষ্টম আসর হওয়ার কথা। কিন্তু একই সময়ে পাকিস্তানের রয়েছে পরপর দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

এক ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তা ক্রিকবাজকে জানান-
“জানুয়ারির মাঝামাঝি শ্রীলঙ্কা সিরিজ ও মাসের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থাকায় পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা পুরো মৌসুমে পাওয়া অসম্ভব।”

আগামী বছরের ৭, ৯ ও ১১ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। পাশাপাশি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে শ্রীলঙ্কায় বিশেষ ক্যাম্পেও অংশ নেবেন তারা।

জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে অপেক্ষা করছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরও একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরপর পাকিস্তান দল আবার শ্রীলঙ্কায় যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে, যা অনুষ্ঠিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত। বিশ্বকাপটি যৌথভাবে আয়োজন করবে শ্রীলঙ্কা ও ভারত।

ফ্র্যাঞ্চাইজির তালিকায় তারকা জমজমাট, কিন্তু ‘পুরো মৌসুম’ অনিশ্চিত

এবারের বিপিএলে পাকিস্তান থেকে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন- সাইম আয়ুব, মোহাম্মদ নওয়াজ, আবরার আহমেদ, সাহিবজাদা ফারহান, উসমান খান, ইমাদ ওয়াসিম, খুশদিল শাহসহ আরও অনেকে।

তবে জাতীয় দলের দায়িত্বকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় তাদের বড় অংশেরই পুরো টুর্নামেন্টে খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা এনওসি দিচ্ছি না,এ কথা সঠিক নয়। যারা আবেদন করেছে, আমরা তা প্রক্রিয়ায় রেখেছি। কিন্তু যেখানে জাতীয় দায়িত্ব থাকে, সেটাই প্রথম অগ্রাধিকার পাবে। এটি বিশ্বব্যাপী প্রচলিত নিয়ম।”

বিপিএল সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগের দিনগুলোতে কিংবা শ্রীলঙ্কা-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মধ্যবর্তী বিরতিতে কিছু পাকিস্তানি ক্রিকেটার খেলতে পারেন।

অন্যদিকে যারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘মূল স্কোয়াড পরিকল্পনায়’ নেই, তারা বিপিএলে আরও বেশি ম্যাচ খেলতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাধারা/এসআর