এক শর্তে রাজকে বিয়ে করেছিলেন শিল্পা শেঠি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৫, ০৫:০৮ বিকাল
ছবি: সংগৃহিত
বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি ও ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রার দাম্পত্য জীবন আজ ১৬ বছরের। দীর্ঘ সময়ে নানা চড়াই-উতরাই ও বিতর্ক পেরিয়েও দু’জন একসঙ্গে পথ চলছেন। তবে তাদের বিয়ের গল্পের শুরুটা ছিল বেশ ভিন্নধর্মী। রাজকে জীবনসঙ্গী করার আগে শিল্পা দিয়েছিলেন একটি কঠিন শর্ত।
সম্প্রতি ভারতী টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ কুন্দ্রা জানান, বিয়ের প্রস্তাবের সময় শিল্পা স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, যে মানুষকে তিনি বিয়ে করবেন, তাকে অবশ্যই ভারতে থাকতে হবে। বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করা যাবে না।
লন্ডনে জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাজ কুন্দ্রা ২০০৭ সালে দুবাইয়ে ব্যবসা শুরু করেন। সে সময় যুক্তরাজ্যে পরিচয় হয় শিল্পার সঙ্গে। ঠিক তখনই ‘বিগ ব্রাদার সিজন-৫’-এর বিজয়ী হয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছেন অভিনেত্রী। রাজের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুই ছিলেন শিল্পার ম্যানেজার, সেখান থেকেই শুরু হয় আলাপ ও ধীরে ধীরে প্রেমের গল্প।
তবে শিল্পাকে রাজি করানো সহজ ছিল না। শিল্পা তখন ব্যস্ত ছিলেন টানা শুটিংয়ে, আর রাজের পক্ষে যোগাযোগ রাখা কঠিন হয়ে উঠেছিল। বলিউডে তখন প্রচলিত ছিল, নায়িকাদের বিয়ের পর ক্যারিয়ার প্রায় শেষ হয়ে যায়। ফলে রাজ একসময় সরাসরি শিল্পাকে অনুরোধ করেন, যদি নতুন ছবি নিশ্চিত না হয়, তবে তিনি ফিরে যাবেন।
কিন্তু শিল্পার শর্ত মানতেই রাজ এগিয়ে আসেন। তিনি দ্রুত মুম্বাইয়ের জুহু এলাকায় একটি ফ্ল্যাট কিনে ফেলেন। রাজ বলেন, ‘আমার এক পরিচিত এজেন্ট বলল, অমিতাভ বচ্চনের বাংলো জলসার সামনে একটি সাততলা বাড়ি হচ্ছে। আমি বিনা দ্বিধায় সপ্তম তলা কিনে ফেললাম, এমনকি ফ্ল্যাট না দেখেই।’ এরপর শিল্পাকে বিষয়টি জানান এবং বিয়ের প্রস্তাব দেন। শিল্পাও সম্মতি দেন।
রাজের ভাষ্য, ‘আমার কাজ যেকোনো জায়গা থেকেই করা যেত। কিন্তু তখন আমি ওর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। তাই প্রতিশ্রুতি দিলাম, শিল্পাকে কখনো ভারত ছেড়ে যেতে বাধ্য করব না। বিদেশে যাব শুধু ছুটি কাটাতে।’
তবে এই সিদ্ধান্তের কারণে নিজের বাবা–মাকে ভারতে আনতে পারেননি রাজ। যুক্তরাজ্যে টানা ৫৫ বছর কাটানোয় তারা সেখানেই থেকে গেছেন। কেবল দীপাবলি ও বড়দিনের মতো বিশেষ উৎসবে ভারতে আসেন। অন্যদিকে শ্বশুর সুরেন্দ্র শেঠির মৃত্যুর পর শাশুড়ি সুনন্দ শেঠিকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন রাজ–শিল্পা।
রাজের ভাষায়, ‘আমাদের বাড়িতে যথেষ্ট জায়গা ছিল। তাই মা-কে বলেছিলাম, তিনি যেন দুশ্চিন্তা না করেন। আমাদের সঙ্গেই থাকবেন।’
এভাবেই শিল্পার শর্ত মান্য করে এগিয়ে আসে রাজের ভালোবাসা। আর সেই ভালোবাসার বন্ধনেই আজও সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন রাজ কুন্দ্রা ও শিল্পা শেঠি।
বাংলাধারা/এসআর
