ঢাকা, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

২৯ জুলাই ডাকসু নির্বাচনের তফসিল, ভোট সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ০১:২৫ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে আগামী ২৯ জুলাই। একইসঙ্গে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে ডাকসুর নির্বাচন কমিশন।

রোববার (২০ জুলাই) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ তথ্য জানান প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন। তিনি বলেন, “আমরা চলতি মাসের ২৯ তারিখ ডাকসুর তফসিল ঘোষণা করব। এরপর নির্বাচনী কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।”

সভায় জানানো হয়, এবার ছয়টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে নির্দিষ্ট হলের শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। কার্জন হল কেন্দ্রে ভোট দেবেন শহীদুল্লাহ হল, অমর একুশে হল ও ফজলুল হক হলের শিক্ষার্থীরা। শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র নির্ধারিত হয়েছে জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের জন্য। রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল এবং কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি)।

বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল এবং শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে। স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন সিনেট ভবনে। সূর্য সেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং কবি জসীম উদ্দীন হলের শিক্ষার্থীদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে।

দীর্ঘদিন পর ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের এই ঘোষণা শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন করে উৎসাহ ও আগ্রহ তৈরি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে নির্বাচন ঘিরে অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলোও প্রচার-প্রচারণা ও প্রার্থী চূড়ান্ত করার কার্যক্রম শুরু করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ডাকসু নির্বাচন কেবলমাত্র একটি ছাত্রসংসদের নির্বাচন নয়, এটি ভবিষ্যতের নেতৃত্ব তৈরির ক্ষেত্র হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ। সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক চর্চার ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন তারা।

বাংলাধারা/এসআর