অবশেষে স্বস্তির খবর
জুনে আইএমএফের ১.৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ
প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৫, ০৫:৫৫ বিকাল
ফাইল ছবি
অর্থনৈতিক চাপের এই সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে বড় একটি সুখবর পেল বাংলাদেশ। একাধিক বৈঠক ও শর্ত পূরণের পর চলতি অর্থবছরের আওতায় ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজের তৃতীয় কিস্তি হিসেবে আগামী জুনে ১.৩ বিলিয়ন ডলার ছাড় করতে যাচ্ছে আইএমএফ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, “আইএমএফ এখন বাকি তহবিল ছাড়ে চূড়ান্তভাবে সম্মত হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ আলোচনার সফল পরিণতি এটি।”
ঋণ ছাড়ের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন আটকে থাকার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল বিনিময় হার নির্ধারণে নতুন পদ্ধতি ‘ক্রলিং পেগ’। বাংলাদেশ ব্যাংক সাম্প্রতিক সময়ে ডলার ও টাকার বিনিময় হার কিছুটা নমনীয় করে এই পদ্ধতির প্রচলন করে। শুরুতে আইএমএফের আপত্তি থাকলেও শেষ পর্যন্ত তারা এ প্রক্রিয়াকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফলে আর কোনো জটিলতা ছাড়াই ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ে সম্মত হয়েছে সংস্থাটি।
ঋণ ছাড়ের বিষয়টি নিয়ে আগামী ১৪ মে (বুধবার) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে একটি আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেই আইএমএফের সঙ্গে ঋণ ছাড় সংক্রান্ত চূড়ান্ত সমঝোতার ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
জানা গেছে, সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দুবাই থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আইএমএফের এই অর্থ ছাড় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বর্তমানে আমদানি ব্যয়, ডলার সংকট ও মুদ্রাস্ফীতির চাপে থাকা দেশের অর্থনীতির জন্য এটি বড় একটি সহায়তা হিসেবে কাজ করবে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থাও বাড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতি সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশকে তিন বছরের জন্য ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে আইএমএফ। এর মধ্যে প্রথম দুটি কিস্তি ইতিমধ্যে ছাড় হয়েছে। আসন্ন এই তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের মাধ্যমে মোট ছাড় পাওয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৩.৩ বিলিয়ন ডলার।
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক বিভিন্ন উদ্যোগ, যেমন বিনিময় হার সংস্কার ও মুদ্রানীতি পুনর্বিন্যাস, আইএমএফের কাছে ইতিবাচক বার্তা হিসেবে গেছে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাধারা/এসআর
