ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন: রাজনীতির মোড় ঘোরানোর মুহূর্ত

আহমেদ শাহেদ:

 প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫, ১১:২৫ রাত  

ফাইল ছবি

দীর্ঘ নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই প্রত্যাবর্তন নিছক একজন রাজনৈতিক নেতার স্বদেশে ফেরা নয়; বরং এটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে জমে থাকা প্রত্যাশা, আকাঙ্ক্ষা ও প্রতীক্ষার এক গভীর মেলবন্ধন। সময়ের প্রবাহে এই ফিরে আসা হয়ে উঠেছে একটি প্রতীক- নির্বাসন, সংগ্রাম এবং রাজনীতির ধারাবাহিকতার।

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করলেও তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে। দলীয় নেতৃত্ব, সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত এবং রাজনৈতিক কৌশলে তাঁর প্রভাব কখনোই ম্লান হয়নি। বরং অনুপস্থিতিতেই তিনি হয়ে উঠেছেন সমর্থকদের কাছে প্রতিরোধের প্রতীক, আর সমালোচকদের কাছে রাজনৈতিক বাস্তবতার এক অনিবার্য নাম।

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন এমন এক সময়ে ঘটছে, যখন দেশের রাজনীতি গভীর অনিশ্চয়তা ও উত্তেজনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা- এই বিষয়গুলো নিয়ে জনমনে জমে আছে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ। এই প্রেক্ষাপটে তাঁর ফেরা বিএনপির জন্য যেমন নতুন গতি সঞ্চার করবে, তেমনি জাতীয় রাজনীতিতেও নতুন সমীকরণ তৈরি করবে বলেই ধারণা করা যায়।

ইতিহাস বলে, রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন সবসময় সহজ হয় না। প্রত্যাশার ভার অনেক সময় নেতার কাঁধে বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তবু তারেক রহমানের ক্ষেত্রে এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে যে আবেগ, যে আশার সঞ্চার- তা উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। সমর্থকদের চোখে তিনি কেবল একজন নেতা নন, বরং ভবিষ্যৎ রাজনীতির সম্ভাব্য দিশারী।

বাংলাদেশের রাজনীতি এখন একটি সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। এই সন্ধিক্ষণে তারেক রহমানের দেশে ফেরা কেবল একটি ঘটনা নয়, এটি সময়ের ভাষ্য। ইতিহাসই বলবে- এই প্রত্যাবর্তন কতটা পরিবর্তন আনতে পারে। তবে এটুকু নিশ্চিত, তাঁর ফিরে আসা দেশের রাজনৈতিক আকাশে নতুন আলোচনার ঝড় তুলেছে।


বাংলাধারা/এসআর