ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

রেমিট্যান্সে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি, এপ্রিলে এসেছে ২৭৫ কোটি ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: মে ০৪, ২০২৫, ০৭:২৮ বিকাল  

ফাইল ছবি

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয়ে এসেছে ২৭৫ কোটি মার্কিন ডলার- যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একক মাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স অর্জন। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় যা প্রায় ৭১ কোটি ডলার বা ৩৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে উঠে এসেছে এমন চিত্র।

এর ফলে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৪৫৪ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ৯১২ কোটি ডলার। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গত পুরো অর্থবছরে যেখানে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৩৯১ কোটি ডলার, সেখানে এবছর মাত্র ১০ মাসেই সেই অঙ্ক ছাড়িয়ে গেছে।

এপ্রিলের আগে, সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে চলতি বছরের মার্চে- ৩২৯ কোটি ডলার। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ছিল গত বছরের ডিসেম্বর মাসে, ২৬৪ কোটি ডলার।

শুধু রেমিট্যান্সই নয়, দেশের রফতানি আয়েও ১১ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে, যা অর্থনীতির জন্য এক ইতিবাচক বার্তা। রফতানি ও প্রবাসী আয়ের এ জোড়া প্রবাহে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও দীর্ঘদিন পর আবার ২২ বিলিয়ন ডলারের ঘর পেরিয়েছে। ৩০ এপ্রিল রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলারে।

স্মরণযোগ্য, ২০২৩ সালের আগস্টে রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার, যা পরের মাসেই কমে যায় ২১ দশমিক ০৫ বিলিয়নে। এরপর প্রায় ৮ মাস ২২ বিলিয়নের নিচেই ছিল রিজার্ভ। অথচ ২০২২ সালের আগস্টে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ উঠেছিল ৪৮ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলারে, যা এরপর থেকে ক্রমাগত কমতে থাকে এবং গত জুলাইয়ে সরকার পতনের আগে তা নেমে এসেছিল ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলারে।

ব্যাংকারদের ভাষ্য অনুযায়ী, রেমিট্যান্স ও রফতানির ইতিবাচক প্রবাহে বর্তমানে ডলারের সংকট অনেকটাই কমে এসেছে। একসময় যেই ডলারের দাম ১২৭ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল, তা এখন দীর্ঘ সময় ধরে ১২২ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। এতে করে আমদানি, বিদেশ ভ্রমণসহ অনেক খাতে আগের আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমদানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। তবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বিদেশি বিনিয়োগ কিছুটা কমেছে। সরকার পরিবর্তনের পর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পক্ষ থেকেও এখনও নতুন কোনো কিস্তি আসেনি। তারপরও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে, যা অর্থনীতিতে আস্থা ও স্থিতিশীলতার সংকেত দিচ্ছে।


বাংলাধারা/এসআর