ফেনী সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি, জোরদার টহল
প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৫, ০২:২৫ রাত

ভারত ও পাকিস্তান সংঘাতকে ঘিরে ফেনীর ১০৩ কিলোমিটার স্থল ও নদী সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। তবে বিজিবির টহল জোরদারের পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সীমান্তবাসীর মাঝে।
বিজিবির দেওয়া তথ্যমতে, ফেনীর ৯৫ কিলোমিটার স্থল সীমান্ত ও বাকি ৮ কিলোমিটার নদী সীমান্ত পথ রয়েছে। এই স্থল ও নদীপথের সীমান্ত রক্ষায় অতন্দ্রপ্রহরী হিসেবে রয়েছে ফেনীস্থ ৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। এ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন সীমান্ত পথে নীরব নজরদারির পাশাপাশি বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
একই সঙ্গে আনসার ভিডিপি ও এলাকাবাসীও সজাগ রয়েছেন
জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা ফুলগাজী, পরশুরাম ও ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, ভারত পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ থাকলেও এই সীমান্ত এখনও স্বাভাবিক
তবে, ভারত অংশে বিএসএফ আগে লাল হ্যালোজেন লাইট ব্যবহার করলেও এখন তাদের উজ্জ্বল এলইডি লাইট ও ক্যামেরা এবং সেন্সর প্রতিস্থাপন করছে বলে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
তারা বলেন, যদি বিএসএফ কোনো রকম তৎপরতা দেখায়, তাহলে স্থানীয় জনতা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিজিবিকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা যায়, বিজিবি, পুলিশ ও জেলার সীমান্তবর্তী এ তিনটি উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয় অব্যাহত রেখে আনসার সদস্য এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা রাতে এখানকার সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে।
ফেনীস্থ ৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন জানান, বর্তমান প্রেক্ষাপটে নানা প্রকার ঘটনাকে ঘিরে সীমান্ত সুরক্ষা ও আধিপত্য বিস্তার জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সর্বদা সজাগ সতর্ক থেকে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে হুঁশিয়ারি জারি করা হয়েছে। এছাড়া অধিকতর টহল তৎপরতার জন্য সীমান্তে জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি সীমান্ত পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, বিজিবি যখনই চাইবে; দেশের প্রয়োজনে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে।