ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

ব্যতিক্রমী মানবিক উদ্যোগ মীর নেওয়াজ আলীর

তীব্র দাবদাহে ঢাকা-৭ আসনে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরণ

নিউজ ডেস্ক

 প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৫, ০৩:০২ দুপুর  

ছবি: বাংলাধারা

তীব্র দাবদাহে অসহায় পথচারী, রিকশাচালক, শিশু ও শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়ালেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুব বিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি এবং আজিমপুর-লালবাগের কৃতি সন্তান মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ।

রোববার (১১ মে) সকাল থেকে পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও ওরাল স্যালাইন বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। আজিমপুর, লালবাগ, চকবাজার, বংশাল, নবাবগঞ্জ ছাড়াও ঢাকা-৭ আসনের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন এলাকায় এ উদ্যোগ পরিচালিত হয়। সকাল থেকে স্থানীয় জনগণ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে সাড়া দেন।

এ কর্মসূচি নিয়ে রিকশাচালক রফিকুল বলেন, এই গরমে সারা দিন রিকশা চালাই। অনেক সময় পানি কেনারও টাকা থাকে না। আজ হঠাৎ দেখি পানি ও স্যালাইন দিচ্ছে, খুব উপকার হলো।"

একই কথা বলেন লালবাগের পথচারী শাহনাজ বেগম। তিনি বলেন, ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে এসে প্রচণ্ড গরমে মাথা ঘুরছিল। এখান থেকে স্যালাইন খেয়ে অনেকটা সুস্থ লাগছে। আল্লাহ মীর নেওয়াজ ভাইকে ভালো করুন।"

এই কর্মসূচির উদ্যোক্তা মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ বলেন, দেশের এই দুঃসময়ে আমাদের প্রত্যেকের উচিত, যার যতটুকু সামর্থ্য আছে তা নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। গরমে পানি ও স্যালাইনের সংকট মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। আমরা সেই চিন্তা থেকেই এই উদ্যোগ নিয়েছি।"

তিনি আরও জানান, এই তীব্র দাবদাহ যতদিন থাকবে, তাদের পক্ষ থেকে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে অন্যান্য এলাকাতেও এ উদ্যোগ সম্প্রসারণ করা হবে।

স্থানীয় নাগরিক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। অনেকে বলেন, রাজনীতিকরা যখন মাঠে থাকে শুধুমাত্র ভোটের সময়, তখন মীর নেওয়াজ আলীর মতো নেতাদের এই মানবিক উপস্থিতি এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ জানান, শুধু পানি বা স্যালাইন নয়, ভবিষ্যতে তিনি অসহায় মানুষের জন্য পথঘাটে ছায়ানিবাস, ওষুধ বিতরণ, ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা ও পথ শিশুদের জন্য খাবার সরবরাহের পরিকল্পনাও করছেন।

ঢাকা-৭ আসনের এই মানবিক উদ্যোগটি শুধু তাৎক্ষণিক সহায়তা নয়, বরং এক সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতিচ্ছবি। রাজনীতিকে যদি সেবামূলক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা যায়, তবে এই ধরনের কর্মকাণ্ডই হতে পারে জনগণের সঙ্গে শক্তিশালী বন্ধনের সেতুবন্ধন।


বাংলাধারা/এসআর