ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

যখন-তখন সড়ক অবরোধে জনদুর্ভোগ, সহনশীল আচরণের আহ্বান ডিএমপির

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৫, ০১:৫৯ দুপুর  

ফাইল ছবি

রাজধানীর ব্যস্ত সড়কগুলো প্রায়ই অবরোধের কবলে পড়ে চরম যানজটে পরিণত হচ্ছে। বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিরা নিজেদের দাবিদাওয়া জানাতে হঠাৎ করে সড়কে বসে পড়ছেন, কিংবা মিছিল নিয়ে রাস্তায় উঠে আসছেন। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থী, অফিসগামী মানুষ ও হাসপাতালগামী রোগীদের জন্য এই পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে এক অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, তাদের ট্রাফিক বিভাগ নিরবচ্ছিন্ন যান চলাচল নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালালেও অহেতুক রাস্তা অবরোধের কারণে সেই প্রচেষ্টা বারবার ব্যাহত হচ্ছে।

ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান পিপিএম রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, “রাজধানীর নাগরিকদের চলাচলের স্বাভাবিকতা রক্ষায় আমরা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে কাজ করে চলেছি। কিন্তু যখন-তখন সড়ক অবরোধ জনজীবনে চরম ভোগান্তি তৈরি করছে।”

তিনি জানান, এইসব আকস্মিক সড়ক অবরোধের ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন বিদেশগামী যাত্রীরা, যাদের সময়ের প্রতি নির্ভরশীলতা অত্যন্ত জরুরি। একইভাবে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগীদের জীবন রীতিমতো হুমকির মুখে পড়ছে।

নগরবাসীর স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, “দাবিদাওয়া বা প্রতিবাদের অধিকার সবারই আছে। তবে তা যেন জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে, সেদিকে দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন।”

ডিএমপি জানায়, জরুরি সেবা নির্বিঘ্ন করতে এবং নগরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে তারা সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা চায়, সব ধরনের আন্দোলন ও কর্মসূচি যেন দায়িত্বশীলভাবে ও বিকল্প পন্থায় পরিচালিত হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার যেমন রক্ষা করা জরুরি, তেমনি অন্য নাগরিকের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। তাই তারা মনে করেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সুশৃঙ্খল প্রতিবাদই হতে পারে সভ্য সমাজের পথ।

রাজধানীতে সুষ্ঠু চলাচল নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতনতাও এখন সময়ের দাবি।


বাংলাধারা/এসআর