ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

শিল্পোদ্যোক্তা সাঈদ হোসেন চৌধুরীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া

নুরুল আফছার

 প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৫, ১১:৩৪ রাত  

ছবি: বাংলাধারা

বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি, এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান, যায়যায়দিনের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ও প্রকাশক সাঈদ হোসেন চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

সাঈদ হোসেন চৌধুরী দেশের চা শিল্পের বিকাশে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন এইচআরসি গ্রুপ আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের চা-কে সুপরিচিত করে তুলেছে। শুধু চা-শিল্পেই নয়, পর্যটন, জাহাজ নির্মাণ, আবাসন, পরিবহন, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতেও এইচআরসি গ্রুপের কার্যক্রম বিস্তৃত। প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

অর্থনৈতিক অঙ্গনের পাশাপাশি কূটনৈতিক পরিসরেও সাঈদ হোসেন চৌধুরীর অবদান অসামান্য। তিনি স্পেনে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও ফোরামের সঙ্গে যুক্ত থেকে তিনি বিদেশে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও সাফল্য তুলে ধরেছেন।

শিল্পোদ্যোক্তা হয়েও সাঈদ হোসেন চৌধুরী সাধারণ মানুষের সেবায় ছিলেন নিবেদিতপ্রাণ। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং দারিদ্র্য বিমোচনে তাঁর নানা উদ্যোগ দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। সমাজসেবী হিসেবে তিনি একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন।

ফেনীর দাগনভুইয়া উপজেলার রামনগর চৌধুরী বাড়ির সন্তান সাঈদ হোসেন চৌধুরী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পরিবারের উত্তরসূরি। তিনি কর্ণফুলী গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ভাষাসৈনিক ও সমাজসেবক হেদায়েত হোসেন চৌধুরীর বড় ছেলে। কর্ণফুলী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সাবেক সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী তাঁর ছোট ভাই।

সাঈদ হোসেন চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশের ব্যবসায়ী, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এইচআরসি গ্রুপ এবং যায়যায়দিন পরিবার শোকসন্তপ্ত। তারা তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছে এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।

সাঈদ হোসেন চৌধুরী অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন, যাঁরা তাঁকে স্মরণ করবেন একজন স্বপ্নদ্রষ্টা শিল্পোদ্যোক্তা, সমাজসেবক ও মানবিক মানুষ হিসেবে।


বাংলাধারা/এসআর