বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান মিশরীয় উদ্যোক্তাদের
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৫, ১০:৪৮ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
বাংলাদেশের অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পর্যটন এবং আতিথেয়তা খাতে বিপুল বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে মিশরের উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সোমবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে মিশরীয় বিপ্লবের ৭৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজওয়ানা হাসান মিশরের জাতীয় দিবস উপলক্ষে সে দেশের সরকার ও জনগণকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যে বন্ধুত্বের ভিত্তি ইতিহাস, সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।”
মিশর ভ্রমণের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি জানান, মিশরের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, জাদুঘর এবং নীল নদের অবিনশ্বর সৌন্দর্য তাকে মুগ্ধ করেছে। মিশরের জনগণ তাদের গৌরবময় ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য গর্বিত হতে পারেন বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য, শিক্ষা, কৃষি, জ্বালানি ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ-মিশর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যে সরাসরি আকাশপথ যোগাযোগ চালু হওয়াকে দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার প্রসঙ্গে রিজওয়ানা হাসান বলেন, “২০২৫ সালের জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থান দেশে নতুন জাতীয় সংলাপের সূচনা করেছে, যা সমতা, ন্যায়, মর্যাদা ও বৈষম্যহীনতার ভিত্তিতে গড়ে উঠছে।”
দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করতে মিশরীয় দূতাবাসের সক্রিয় ভূমিকাকে তিনি সাধুবাদ জানান। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে কায়রোতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সফর এবং ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় পররাষ্ট্র দপ্তরের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য মিশরের প্রস্তাবিত বৃত্তির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, “জাতিসংঘ ও ওআইসিসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে মিশরের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।”
অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মোহি এলদিন আহমেদ ফাহমি বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট নাগরিকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাধারা/এসআর