ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

নিষেধাজ্ঞার মুখে আওয়ামী লীগ: রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সব কার্যক্রম বন্ধের প্রজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৫, ০৬:২৮ বিকাল  

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সব ধরনের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। আজ সোমবার (১২ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ২০০৯ সাল থেকে টানা দীর্ঘ ১৫ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগ ও তাদের সংগঠনগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, খুন, দমন-পীড়ন এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকে দেশে ভীতির পরিবেশ তৈরি করে। বিশেষ করে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে দলটি ক্ষমতা হারানোর পরও দেশ-বিদেশে রাষ্ট্রবিরোধী এবং সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে।

সরকারি বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসব কর্মকাণ্ড দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিপন্ন করার পাশাপাশি বিচারিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এই প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এবং সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫–এর আওতায় সরকার এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ, সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সকল প্রকার রাজনৈতিক প্রচার, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সংগঠনিক তৎপরতা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ গণমাধ্যমে প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের একটি বড় ইঙ্গিত। তবে সরকারের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহলে কী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে এবং দেশে স্থিতিশীলতা রক্ষায় কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলে দেবে।

 

বাংলাধারা/এসআর