ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

শাটডাউনে অচল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: উপাচার্য অপসারণ দাবিতে একসাথে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৫, ০২:৩২ দুপুর  

ছবি: সংগৃহিত

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) চলমান আন্দোলন আরও এক ধাপে এগিয়েছে। উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ডাকে সোমবার থেকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫টি বিভাগের শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

এর ফলে এখন পুরো ক্যাম্পাসে নীরবতা। বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষা ও প্রশাসনিক দপ্তরের কার্যক্রম। তবে জরুরি পরিষেবা হিসেবে চলমান সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা, চিকিৎসা, পরিবহণ ও গ্রন্থাগারের সেবা চালু থাকবে বলে জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

চলমান এই আন্দোলন গড়িয়েছে ২৭তম দিনে। গত রোববার এক খোলা চিঠির মাধ্যমে সব শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মীদের ক্লাস ও অফিস কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় শিক্ষার্থীরা। এর আগেই প্রশাসনিক ভবনগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন তারা।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক সুজয় শুভ বলেন, এই আন্দোলন শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন। আমরা বারবার দেখেছি, একজন অপেশাদার, মামলাবাজ ও অযোগ্য উপাচার্যের উপস্থিতি শিক্ষাবান্ধব পরিবেশকে নষ্ট করছে। তাই তাঁর পদত্যাগই এখন আমাদের প্রধান দাবি। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে আমরা প্রস্তুত।”

শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, শিক্ষকরাও এবার সরাসরি পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান উন্মেষ রায় বলেন, আমরা মনে করি, শিক্ষার্থীদের এই দাবি যৌক্তিক। প্রশাসনের প্রতি আমাদের আহ্বান, যাঁকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কেউই চান না, তাঁকে অপসারণ করে এই সঙ্কটের অবসান ঘটান।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন ও প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা কোনও বক্তব্য দেননি।

উল্লেখ্য, উপাচার্য অপসারণের দাবিতে আন্দোলনকারীরা মশাল মিছিল, মহাসড়ক অবরোধ, অবস্থান কর্মসূচি, উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলানো এবং সংবাদ সম্মেলনসহ একের পর এক কর্মসূচি পালন করে আসছেন। আন্দোলনের ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী একসঙ্গে মাঠে নামায়।

 

বাংলাধারা/এসআর