রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি, তাপমাত্রা কমেছে ৪ ডিগ্রি
প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৫, ১০:২৫ দুপুর

ছবি: সংগৃহিত
টানা কয়েক দিনের দাবদাহে হাঁসফাঁস করা নগরবাসীর জন্য স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে আজকের সকাল। ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে রয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। এতে করে গরমের দাপট কিছুটা হলেও প্রশমিত হতে পারে বলে আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
সোমবার (১২ মে) সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে এবং কোথাও কোথাও বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিম বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়ার সঙ্গেও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এদিন সকাল ৬টার দিকে রাজধানীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকালকের তুলনায় অনেকটাই কম। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৭৯ শতাংশ। এর আগে গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৭ ডিগ্রি। গেল ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় সামান্য বৃষ্টিপাতও রেকর্ড হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি বা বিদ্যুৎ চমকানো বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশের অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। খুলনা বিভাগে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে, অন্যদিকে দেশের বাকি অংশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
তবে স্বস্তির পাশাপাশি রয়েছে কিছুটা দুশ্চিন্তার খবরও। রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও যশোর অঞ্চলে এখনো তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে। এছাড়া রাজশাহী ও খুলনার বাকি অংশ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগসহ রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, ময়মনসিংহ, জামালপুর ও শেরপুরে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে, যদিও কিছু এলাকায় তা ধীরে ধীরে প্রশমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের মতে, মে মাসের মাঝামাঝিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এমন বৃষ্টিপাত ও হালকা আবহাওয়া পরিবর্তন স্বাভাবিক। তবে গ্রীষ্মের প্রকোপ থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে আরও কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হতে পারে।
বাংলাধারা/এসআর