শুল্ক কমার আশা অর্থ উপদেষ্টার
প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৭:৩০ বিকাল

ছবি: সংগৃহিত
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান আলোচনায় বাংলাদেশ আশাবাদী যে কিছু পণ্যের ওপর আরোপিত আমদানি শুল্ক কিছুটা হ্রাস পাবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (২৩ জুলাই) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমরা তো চেষ্টা করছি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখন আমাদের নেগোশিয়েশনের সময় চলছে। আমরা আশা করছি শুল্ক কিছুটা কমে আসবে।”
মূল্যস্ফীতির পরিমাণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের মূল্যস্ফীতি এখন ৬.৫ বা ৭ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে। কাজেই শুল্ক হ্রাসের যৌক্তিকতা আছে।”
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির ব্যয় বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “দাম কিছুটা বাড়বে, তবে কিছু সুবিধাও আছে। আমরা একটু ডাইভারসিফাই করছি। তাদের গমে ইমপিউরিটি কম, প্রোটিন কনটেন্ট তুলনামূলক ভালো। আমাদের জন্য এটা দরকার হবে, নেগোশিয়েশনের সময় এই দিকগুলো সহায়ক হবে।”
শুল্ক কার্যক্রম বা আলোচনার সময়সীমা নিয়ে জানতে চাইলে ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, “এখনো আট দিন বাকি আছে। এর মধ্যে তারা তৃতীয় দফার জন্য যেতে বলেছে কিনা জানি না। তবে বাণিজ্য উপদেষ্টা যাবেন, তিনি একটি দল নিয়েই যাবেন, যদিও বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত নয়। আমি দেখেছি, আপনারা গ্রাফিক্স ও বারকোড দিয়ে দেখাচ্ছেন, কিন্তু এগুলো এখনো কার্যকর হয়নি।”
লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে ব্যবসায়ীদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “এই পর্যায়ে লবিস্ট নিয়োগ কতটা কার্যকর হবে জানি না। লবিস্টরা সাধারণত দীর্ঘমেয়াদে কাজ করে। কিন্তু এখনকার সিদ্ধান্তগুলো খুব দ্রুত, উচ্চ পর্যায়ে হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যদি বলেন, ‘আমরা গেলে কাজ হবে’, এটা বাস্তবসম্মত নয়। টেবিলে ব্যবসায়ীদের প্রবেশাধিকার থাকবে না। আমি বিশ্বব্যাংক ও এডিবিতে নেগোশিয়েট করে এসেছি। ব্যবসায়ীরা তো গেট পর্যন্তও ঢুকতে পারবে না, পরে বাইরে হইচই করবে। ওই হইচইয়ে কাজ হবে না।”
তবে যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্য ও রাজনীতির সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “তাদের প্রাইভেট সেক্টর অনেক শক্তিশালী। সেখানে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আমি ইউএস চেম্বার অব কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছে, ‘আমরা তো কথা বলেছি’। কারণ আমাদের একটা ভালো ইমেজ ও ইমপ্রেশনস রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে তিনি নিজ উদ্যোগে ইউএস চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বার্থ তুলে ধরেছেন।
বাংলাধারা/এসআর