মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে : আইএসপিআর
প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৮:০৫ রাত

ছবি: সংগৃহিত
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বুধবার (২৩ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় প্রকৃত তথ্য গোপনের কোনো ইচ্ছা সেনাবাহিনীর নেই। বরং বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে যেসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে, তা নিয়ে সেনাবাহিনী গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। তিনি বলেন, কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কিংবা না বুঝে বিভ্রান্তিকর তথ্য শেয়ার করছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
আইএসপিআর জানায়, এ ঘটনায় কেউ চাইলে তদন্ত করতে পারেন। যেকোনো গণমাধ্যম দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ সেনাবাহিনী ও সংশ্লিষ্টদের সাক্ষাৎকার নিতে পারে। সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, যাচাই না করে কোনো তথ্য প্রচার করা বা গুজবে কান দেওয়া উচিৎ নয়। কারণ, এটি শুধু বিভ্রান্তি ছড়ায় না, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকেও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে।
আইএসপিআরের তথ্যমতে, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন ১৬৫ জন। তাদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গত সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফটি-৭ বিজিআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন করে। মাত্র ১২ মিনিট পর, দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে বিমানটি উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়।
বিমানটি চালাচ্ছিলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকীর, যিনি একাই ছিলেন বিমানে। আছড়ে পড়ার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায় এবং ঘটনাস্থলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দল তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।
আইএসপিআর আবারও সকলকে আহ্বান জানিয়েছে, অনাকাঙ্ক্ষিত গুজব বা অপপ্রচার থেকে বিরত থাকতে এবং তথ্য যাচাই করে তবেই মন্তব্য করতে। এই মুহূর্তে সব পক্ষের সহানুভূতি, সংবেদনশীলতা ও দায়িত্বশীল আচরণই পারে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে।
বাংলাধারা/এসআর